হেফাজতে ইসলামের পাঁচ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে অরাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে পাঁচ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাত ১১টার দিকে কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্তির কয়েক ঘণ্টা পর সংগঠনের মহাসচিব আল্লামা নুরুল ইসলাম জেহাদী এই কমিটি ঘোষণা করেন।
হেফাজতের আহ্বায়ক কমিটির প্রধান উপদেষ্টা আল্লামা আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, আমিরের দায়িত্ব পালন করবেন আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী এবং মহাসচিব হিসেবে আল্লামা নুরুল ইসলাম জিহাদীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া সদস্য হিসেবে রয়েছেন সালাহ উদ্দীন নানুপুরি ও অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী।
হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা নুরুল ইসলাম জিহাদী বলেন, সার্বিক পরিস্থিতিতে কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। পরে আমাকে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করতে বলা হয়েছে।
এই তিন আহ্বায়ক দ্রুত হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করবেন বলেও জানান নুরুল ইসলাম জেহাদী।
এর আগে রোববার রাতে ফেসবুক লাইভে এসে কমিটি বিলুপ্তের ঘোষণায় জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে বড় অরাজনৈতিক সংগঠন, দ্বীনি সংগঠন, ঈমান-আকিদার সংগঠন, হেফাজত ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির গুরুত্বপূর্ণ কিছু সদস্যের পরামর্শক্রমে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলো। ইনশাআল্লাহ আগামীতে আহ্বায়ক কমিটির মাধ্যমে হেফাজতে ইসলামের কার্যক্রম শুরু হবে।
গত মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ-সহিংসতার পর হেফাজতের কেন্দ্রীয় ও গুরুত্বপূর্ণ ১৯ জন নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিক্ষোভ-সহিংসতার ঘটনায় দেশের বিভিন্ন জেলায় হেফাজতের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অন্তত ৭৭টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় প্রায় প্রতিদিনই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হেফাজতের নেতাকর্মী ও সমর্থকেরা গ্রেপ্তার হচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে কওমি মাদ্রাসাকেন্দ্রিক সংগঠনটির কমিটি বিলুপ্তির ঘোষণা দিলেন বাবুনগরী।
হেফাজতে ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীর মৃত্যুর পর গত বছরের ১৫ নভেম্বর জুনায়েদ বাবুনগরীকে আমির ও নূর হোসাইন কাসেমীকে মহাসচিব করে ১৫১ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়। চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় হেফাজতে ইসলামের সম্মেলনে ওই কমিটি ঘোষণা করা হয়।
গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর মহাসচিব নূর হোসাইন কাসেমী ইন্তেকাল করেন। এরপর হেফাজতের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা নূরুল ইসলাম জিহাদী ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দায়িত্ব পান।