মুনিয়া আত্মহত্যা করেছেন, ময়নাতদন্তের বরাতে পুলিশ
রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশানের একটি ফ্ল্যাটে কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়া আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছেন সুরতহাল ও ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকরা। আত্মহত্যার প্ররোচনার প্রধান আসামি বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ ঘটনায় জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে, কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়, দোষী প্রমাণ হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
হত্যা নাকি আত্মহত্যা- গুলশানের ফ্ল্যাট থেকে কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়ার লাশ উদ্ধারের পর থেকে নানামহলে এখন প্রশ্ন ওঠেছে। এরই মধ্যে মুনিয়ার ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেয়েছেন মামলার তদন্তকারী দল।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সুরতহালের সময় তাঁরা (চিকিৎসক) শরীরে অন্যকোনো জখমের চিহ্ন বা আঘাত শনাক্ত করেননি বা ওই ধরনের কোনো আঘাত নেই।’
তবে আত্মহত্যার প্ররোচনার প্রধান আসামি বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ ঘটনায় জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সুদীপ চক্রবর্তী বলেন, ‘এরই মধ্যে আমরা মুনিয়ার ছয়টি ডায়েরি পেয়েছি। এই ডায়েরিগুলো বিশ্লেষণ করে আমরা বেশ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছি। এবং তাঁর মধ্যে যে এক ধরনের বড় হাতাশা ছিল সেটা কিন্তু ডায়েরিতে উঠে এসেছে। ঘটনার দিন বা আগের দিন আসামির ওই এলাকায় মুভমেন্টের কোনো ফুটেজ পাইনি। তবে এর আগের ফুটেজ পেয়েছি। এগুলো অবশ্যই আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে মামলার গুরুত্বপূর্ণ আলামত হিসেবে নিব।’
ঘটনাটি নিয়ে কথা বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালও। তিনি বলেন, ‘আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। যেই অপরাধী হোক তাকে আইনের-বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। এটা তদন্তাধীন রয়েছে; এটা তদন্তের পরই আমরা বলতে পারব।’
মুনিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছে তাঁর পরিবারও।
মুনিয়ার ভাই আশিকুর রহমান বলেন, ‘এটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। আত্মহত্যা নয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে দেশে প্রচলিত আইন অনুযায়ী আসামিকে গ্রেপ্তার করে কঠিন শাস্তির দাবি করছি।’