‘নূর হোসেনকে রিমান্ডে নেওয়া যেতে পারে’
নারায়ণগঞ্জে সাত খুন মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়ায় প্রধান আসামি নূর হোসেনকে রিমান্ডে নেওয়া যাবে না, এমন কথা গ্রহণযোগ্য নয়। বরং তাঁকে রিমান্ডে নিয়ে আরো অনেক তথ্য জানা যাবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান।
আজ রোববার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন আয়োজিত ‘সকলের জন্য মানবাধিকার : প্রসঙ্গ অস্পৃশ্যতা’ শীর্ষক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মিজানুর রহমান এ কথা বলেন।
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জে সাতজন মানুষকে নৃশংসভাবে হত্যা করার পর থেকেই নূর হোসেন পলাতক এবং সব সন্দেহের তীর কিন্তু তার দিকেই ছোড়া হয়েছে। সেদিক থেকে চিন্তা করলে তাঁর কাছে নিশ্চয়ই এমন কিছু তথ্য রয়েছে যেগুলো আমাদের জানা দরকার। শুধু হয়তো এই সাত খুনের মামলাকে কেন্দ্র করেই নয়। বরঞ্চ নারায়ণগঞ্জে সংগঠিত আরো অনেক অপরাধের ক্ষেত্রে তাঁর সম্পৃক্ততা থাকতে পারে। বা তাঁর কাছে এই রকম অনেক তথ্য থাকতে পারে। ... সেদিক থেকে বিচার করে শুধু চার্জশিট দেওয়া হয়েছে সে জন্য রিমান্ডে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই এ কথাটি কিন্তু গ্রহণযোগ্য মনে হচ্ছে না। কেননা নতুন প্রশ্ন এবং নতুন সন্দেহ দেখা দিতে পারে। এবং সেই নতুন সন্দেহের পরিপ্রেক্ষিতে আবারও আদালতে রিমান্ড চেয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা যেতে পারে।’
বরং নুর হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ না করলে জনমনে সন্দেহ বাসা বাঁধবে এবং মামলা দিক পরিবর্তনের আশঙ্কা রয়েছে বলেও মনে করেন ড. মিজানুর রহমান।
এর আগে সমাজের হরিজন সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সমস্যা ও এর সমাধান শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুসের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক সেলিনা হোসেন, পুলিশ সুপার মো. রশীদুল হাসান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক রবিউল ইসলামসহ হরিজন সম্প্রদায়ের নেতারা।