খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ নিতে পরিবারের আবেদন
বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে সরকারের কাছে আবেদন করেছেন তাঁর ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার। আজ বুধবার রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের বাসায় গিয়ে তিনি এই আবেদন জানান।
পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এনটিভিকে ফোনে বলেন, ‘আবেদন করেছেন। রাতেই আবেদন করেছেন। হার্ড কপিটা আনেন নাই। হোয়াটস অ্যাপে দিয়ে গেছেন। উনি (শামীম) বলছেন, তাঁকে (খালেদা জিয়া) বিদেশে নিয়ে যাওয়ার জন্য। আমি বলছি, এটা তো একটা প্রসিডিওর ফলো করতে হবে। তাঁরা অ্যাপ্লাই করছেন। আমার সঙ্গে রাত্র সাড়ে ৮টায় দেখা করে গেছেন।’
‘আইন অনুযায়ী আমরা বিবেচনা করছি, দেখি কী করা যায়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কী করতে পারি, সেটাই আমরা ডিসিশন নিব’, যোগ করেন আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
এর আগে এ ব্যাপারে আজ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর টেলিফোনে সাংবাদিকদের বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নিয়ে যাবার বিষয়টি নির্ভর করছে মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশ এবং সরকারের অনুমতির ওপর।’
গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনা শনাক্ত হয়। এরপর থেকে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এফ এম সিদ্দিকীর নেতৃত্বে চিকিৎসা শুরু হয়। করোনা আক্রান্তের ১৪ দিন অতিক্রান্ত হওয়ার পরে খালেদা জিয়ার করোনা টেস্ট করা হয়েছিল কিন্তু ফলাফল পজিটিভ আসে। এরপর ২৭ এপ্রিল রাতে তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়।
শ্বাসকষ্টজনিত কারণে গত সোমবার খালেদা জিয়াকে হাসপাতালের সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। এখনো তিনি সেখানেই আছেন।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, খালেদা জিয়ার মেডিকেল রিপোর্টের অনেকগুলোতেই আগের চেয়ে উন্নতি দেখতে পেয়েছে মেডিকেল বোর্ড। এবং তাঁর অবস্থার অবনতি হয়নি, স্থিতিশীল রয়েছে।