দেশের বিভিন্ন এলাকায় আজ ঈদ উদযাপন
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আজ বৃহস্পতিবার দেশের একাধিক জেলার বিভিন্ন স্থানে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম, দিনাজপুর, শরীয়তপুর, মৌলভীবাজার, মাদারীপুর, চাঁদপুর, ফরিদপুরসহ দেশের কয়েক জেলার বিভিন্ন স্থানের মুসল্লিরা ঈদের নামাজ আদায় করেন।
আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো সংবাদ
আরিচ আহমেদ শাহ, চট্টগ্রাম
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দক্ষিণ চট্টগ্রামের অর্ধশতাধিক গ্রামে ঈদুল ফিতর পালন করছেন মির্জাখীল দরবারের অনুসারীরা। আজ বৃহস্পতিবার সকালে চন্দনাইশ শাহসুফী মমতাজিয়া দরবার শরীফে দুটি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
ঈদের প্রথম জামাতে ইমামতি করেন মাওলানা মো. আলী এবং দ্বিতীয় জামায়াতে ইমামতি করেন শাহজাদা মনজুর আলী।
এ ছাড়া সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন চন্দনাইশের কাঞ্চননগর ও সাতকানিয়া পটিয়া, বাশখালী, আনোয়ারা, বোয়ালখালী ও লোহাগাড়া উপজেলার অর্ধশতাধিক গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ।
ফারুক হোসেন, দিনাজপুর
সৌদি আরবের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে দিনাজপুরে আজ ঈদ উদযাপন করছে প্রায় দেড় হাজার পরিবার। দিনাজপুর সদর, চিরিরবন্দর, বিরল, কাহারোল, বিরামপুর উপজেলাসহ বেশকিছু এলাকায় আজ পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হচ্ছে।
আজ সকাল সাড়ে ৭টায় দিনাজপুর শহরের পার্টি সেন্টারে নারী-পুরুষসহ দুই শতাধিক মুসল্লি ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন। এ নামাজে ইমামতি করেন মাওলানা সাইফুল ইসলাম।
এ ছাড়া দিনাজপুর চিরিরবন্দর উপজেলার সাইতাড়া, বিরল উপজেলার কান্দেবপুর ও কাজিপাড়া, কাহারোল উপজেলার জয়নন্দ ও গড়েয়া এবং বিরামপুর উপজেলায় দুটি গ্রামে আজ ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জেলায় ১৩টি উপজেলায় প্রায় দেড় হাজার পরিবার সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ পালন করছে।
আব্দুল আজিজ শিশির, শরীয়তপুর
সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে আজ পবিত্র ঈদ পালন করেছে শরীয়তপুরের ৩০ গ্রামের হাজার হাজার মানুষ।
শরীয়তপুরের সুরেশ্বর দরবার শরিফের অনুসারী ৩০টির অধিক গ্রামের বাসিন্দারা আজ সকাল ৯টায় নিজ নিজ মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন।
সুরেশ্বর দরবার শরিফের পীর শাহ নূরে কামাল সুরেশ্বরী বলেন, ‘সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা রাখি এবং ঈদ পালন করে থাকি। এ বছর সেই নিয়মেই আমরা আজ ঈদ পালন করছি। করোনার কারণে সরকারি নির্দেশনা থাকায় আমরা মসজিদে নামাজ আদায় করেছি। এর আগে তারাবি নামাজও স্বাস্থ্যবিধি মেনে পালন করেছি।’
নূরে কামাল দাবি করেন, শরীয়তপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রায় দেড় কোটি মুসলমান আজ ঈদের নামাজ আদায় করেছে।
এস এম উমেদ আলী, মৌলভীবাজার
মৌলভীবাজারে শতাধিক পরিবার আজ ঈদ পালন করছে। আজ সকাল ৭টায় মৌলভীবাজার শহরের সার্কিট হাউস এলাকায় আহমেদ শাবিস্তা নামের একটি বাসার ছাদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা নারী-পুরুষ অংশ নেন। নামাজে ইমামতি করেন আলহাজ আব্দুল মাওফিক চৌধুরী। এ ছাড়া জেলার কুলাউড়া, বড়লেখা ও শ্রীমঙ্গলেও ঈদের নামাজ আদায় করা হয়।
এম.আর.মুর্তজা, মাদারীপুর
মাদারীপুরের চারটি উপজেলার ৩০ গ্রামের প্রায় ৪০ হাজার সুরেশ্বরী মুরিদ ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন। জেলার বেশকিছু স্থানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হলেও প্রধান ও বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে সদর উপজেলার তাল্লুক গ্রামের চরকালিকাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে। আজ সকাল সাড়ে ৯টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা, জাজিরা, মহিষেরচর, জাফরাবাদ, চরকালিকাপুর, তাল্লুক, বাহেরচরকাতলা, চরগোবিন্দপুর, আউলিয়াপুর, ছিলারচর, কুনিয়া, মস্তফাপুর, কালকিনির সাহেবরামপুর, আন্ডারচর, আলীনগর, বাঁশগাড়ী, খাসেরহাট, আউলিয়াপুর, রামারপোল, ছবিপুর, ছিলিমপুর, ক্রোকিরচর, সিডিখান, কয়ারিয়া, রমজানপুর, বাটামারা, রাজারচর, শিবচরের কেরানীবাট, পাচ্চরসহ জেলার চারটি উপজেলার ৩০ গ্রামের প্রায় ৪০ হাজার মুসল্লি আজ ঈদ উদযাপন করছেন।
হাবিবুর রহমান খান, চাঁদপুর
চাঁদপুরের পাঁচ উপজেলায় ৪০টি গ্রামে আজ ঈদ উদযাপন করা হচ্ছে। মুসল্লিরা দলে দলে ঈদগাহ ময়দানে ছুটে এসে ঈদের নামাজ আদায় করে।
জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা ফাজিল মাদ্রাসা মাঠে সকাল পৌঁনে ৯টায় ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ঈদের নামাজে ইমামতি করেন মাওলানা আরিফ চৌধুরী।
এ ছাড়া ফরিদগঞ্জ, হাজীগঞ্জ, মতলব, কচুয়া ও শাহরাস্তিসহ পাঁচ উপজেলার প্রায় ৪০ টি গ্রামে আজ ঈদ উদযাপন করা হচ্ছে।
সঞ্জিব দাস, ফরিদপুর
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় ১৩ গ্রামে ঈদ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সকাল ৯টায় এবং ১০টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
এ ছাড়া উপজেলার শেখর ও রুপাপাত ইউনিয়নের ১৩টি গ্রামের মানুষ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগে রোজা রাখা শুরু করে। ওই ১৩ গ্রামের অগনতি মানুষ আজ ঈদ উদযাপন করছে।
বোয়ালমারী শেখর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইসরাফিল মোল্লা জানান, উপজেলার শেখর ও রুপাপাত ইউনিয়নের ১৩ গ্রামের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও ঈদ পালন করে আসছেন।