রিভিউয়ে মুজাহিদ খালাস পাবেন, আশা আইনজীবীর
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ ফাঁসির দণ্ড থেকে খালাস পাবেন বলে আশা করছেন তাঁর প্রধান আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন।
আজ মঙ্গলবার মুজাহিদের পক্ষে করা রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনের রায়ের দিন ধার্য করার পর সুপ্রিম কোর্টে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে খন্দকার মাহবুব এ কথা জানান।
খন্দকার মাহবুব বলেন, জামায়াত নেতা কামারুজ্জমানের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনা হয়েছিল। কিন্তু মুজাহিদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ নেই। বুদ্ধিজীবী হত্যার দায়ে ১৯৭১ সালে দালাল আইনে ৪২টি মামলা হয়েছিল। যেখানে মুজাহিদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগও আনা হয়নি।
মুজাহিদের প্রধান আইনজীবী বলেন, ‘রিভিউয়ের শুনানিতে আমরা নতুন তিনটি যুক্তি উপস্থাপন করে মুজাহিদের খালাস চেয়েছি।’ তিনি বলেন, জেনারেল নিয়াজীর সাক্ষাৎকার নিয়ে অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের প্রকাশিত বইয়ে বলা হয়েছে, আলবদর সরাসরি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কমান্ডে ছিল। সেখানে সাধারণ নাগরিকের অন্তর্ভুক্তি ছিল না। জেনারেল নিয়াজী পাকিস্তানি বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ করতেন।
আপিল বিভাগ তাঁদের বক্তব্য ধৈর্যসহকারে শুনেছেন জানিয়ে খন্দকার মাহবুব বলেন, ‘আগামীকাল রিভিউয়ের রায়ের দিন ধার্য করা হয়েছে। আমরা প্রত্যাশা করছি, এতে মুজাহিদ খালাস পাবেন।’
এর আগে আজ সকালে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের বেঞ্চে আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের রিভিউ আবেদনের শুনানি শেষ হয়। শুনানি শেষে আগামীকাল বুধবার রায়ের দিন ধার্য করেন আদালত।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, লুটপাটসহ বিভিন্ন অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সাকা চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।