ফাঁকা ঢাকায় রিকশা ভ্রমণে ঈদ আনন্দ
রাশেদুল হক (৩৪)। ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। গ্রামের বাড়ি নাটোরে। প্রত্যেক বছরই পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ করতে নাটোরের যান। কিন্তু এ বছর করোনাভাইরাসের কারণে গণপরিবহন না চলায় বাড়িতে যেতে পারেননি। তাই এই প্রথম ঈদে ঢাকায় রয়ে গেছেন তিনি ও তাঁর পরিবার। ঈদে ঢাকা ফাঁকা। এমন পরিবেশ দেখে তিনি হতবাক। আর এমন ফাঁকা ঢাকাতে ঈদের আনন্দ করতে ঘণ্টা চুক্তিতে রিকশা ভ্রমণে বের হয়েছেন তিনি।
আজ শনিবার ঈদুল ফিতরের দ্বিতীয় দিন রাজধানীর মতিঝিল, কারওয়ান বাজার, ধানমন্ডিতে দেখা গেছে, অনেকে ঈদের আনন্দে রিকশায় করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
রাশেদুল হক এনটিভিকে বলেন, ‘আমি ঢাকায় চাকরি করি পাঁচ বছর ধরে। প্রত্যেক বছর আমি বাড়িতে ঈদ করি। কিন্তু এবার লকডাউনের কারণে গাড়ি না চলায় ঢাকাতে ঈদ করতে হচ্ছে। তবে এবার ঈদে ঢাকায় থেকে নতুন অভিজ্ঞতা হয়েছে। ঢাকা শহর একবারে ফাঁকা। এমন ঢাকায় রাস্তায় ঘণ্টা চুক্তিতে রিকশা নিয়ে বের হয়েছি। এটা অনেক ভালো লাগছে।’ তিনি বলেন, ‘ঢাকা শহর ব্যস্ত থাকে। ব্যস্ত রাস্তা দেখতে দেখতে আমরা অভ্যস্ত। কিন্তু ফাঁকা রাস্তা চিনতে একটু সমস্যা হচ্ছে। তারপরেও ঢাকায় কোনো কোলাহল নেই, স্বাভাবিক পরিবেশ মনে হয়েছে।
রাশেদুলের রিকশাচালক মাহিন ভূঁইয়া বলেন, তিনি ঢাকার ধোলাইখালে থাকেন। করোনার সময় রিকশা চালিয়ে ভালো আয় হয়েছে। এখন ফাঁকা ঢাকায় তেমন যাত্রী নেই। তবে অনেকে ঘণ্টা চুক্তিতে ঘুরতে বাহির হয়েছেন। কেউ কেউ মিরপুর থেকে মতিঝিল আবার গাবতলী, ধানমন্ডির দিকে যাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, ঈদের সময় প্রত্যেক বছর ঢাকা এমনই ফাঁকা থাকে। টাকাও আয় ভালো হয়। অনেকে খুশি হয়ে বাড়তি টাকা দেন।
কারওয়ান বাজারে আবু হানিফ জোয়াদ্দার নামের এক ব্যাংকার বলেন, ‘শেওড়াপাড়া থেকে হাজারীবাগ ফুফুর বাসায় দাওয়াত খেতে রিকশা দিয়ে যাচ্ছি। অন্য সময় তো সিএনজি ও গণপরিবহনে যাই। তবে একটি ভিন্ন মজার জন্য রিকশাকে বেছে নিয়েছি। বাহিরের প্রকৃতি দেখাও হলো আর ঈদের আনন্দও হলো।