আইনি প্রক্রিয়া শেষ, বাকি শুধু প্রাণভিক্ষা
রিভিউ আবেদন খারিজ হওয়ার মধ্য দিয়ে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী ও জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে সব আইনি প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গেল। এখন কেবল বাকি রইল রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন। এ আবেদন বাতিল হলে বা প্রাণভিক্ষা না চাইলে দুজনের ফাঁসি কার্যকরে কোনো বাধা থাকবে না।
আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ সাকা চৌধুরী ও মুজাহিদের রিভিউ আবেদন খারিজ করে দিয়ে মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন।
কারাবিধি অনুযায়ী, একজন আসামির রিভিউ আবেদন খারিজ হওয়ার পর তিনি প্রাণভিক্ষা চাওয়ার জন্য সাত দিন সময় পেয়ে থাকেন। এর পর তাঁকে ২১ দিনের আগে নয় এবং ২৭ দিনের বেশি নয়—এমন সময়ের মধ্যে ফাঁসি কার্যকর করতে হবে। প্রাণভিক্ষা চাওয়ার সময় নিয়ে আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের মধ্যে বিতর্ক রয়েছে। তবে জামায়াত নেতা কামারুজ্জামান ও কাদের মোল্লার ফাঁসির কার্যকরের সময় এই বিধি মানা হয়নি। এর কারণ হিসেবে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ আইনের ক্ষেত্রে কারাবিধি প্রযোজ্য হবে না।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর সাকা চৌধুরী ও মুজাহিদের পূর্ণাঙ্গ রায়ের অনুলিপি প্রকাশ করেন আপিল বিভাগ। এ রায় দুজনকে পড়ে শোনানোর পর তাঁরা রিভিউ আবেদন করেন। শুনানি শেষে দুজনের রিভিউ আবেদন খারিজ হয়ে যায়।
গত বছরের ৩ নভেম্বর আপিল মামলার চূড়ান্ত রায়ে কামারুজ্জামানকে দেওয়া ট্রাইব্যুনালের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। ওই দিন সংক্ষিপ্ত আদেশ দেন সর্বোচ্চ আদালত। চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ পায়। এর পর ট্রাইব্যুনাল কামারুজ্জামানের মৃত্যু পরোয়ানা জারি করলে আসামির আইনজীবীরা ৫ মার্চ রিভিউ আবেদন করেন। এতে করে পরোয়ানার কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়। সে সময় সুপ্রিম কোর্টের অবকাশকালীন ছুটির প্রাক্কালে কামারুজ্জামানের পক্ষে করা সময়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১ এপ্রিল শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করেন আপিল বিভাগ। শুনানি শেষে ৬ এপ্রিল তাঁর পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। এরপর প্রাণভিক্ষা না চাওয়ায় ১১ এপ্রিল শনিবার রাতে কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর করা হয়।