মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ড বুদ্ধিজীবী হত্যার দায়ে
বুদ্ধিজীবী হত্যার দায়ে জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের বেঞ্চ তাঁর রিভিউ আবেদন নিষ্পত্তি করে এ রায় দেন।
প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে মুজাহিদের অপরাধ সম্পর্কে বলা হয়, একাত্তরের ২৭ মার্চের পর ঢাকার মোহাম্মদপুর ফিজিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে দখলদার পাকিস্তান সেনাবাহিনী ক্যাম্প করে। পরে রাজাকার, আলবদর বাহিনীও সেখানে ক্যাম্প করে। মুজাহিদ ছাত্রসংঘের শীর্ষ নেতা হওয়ার সুবাদে আর্মি ক্যাম্পে নিয়মিত যাতায়াত করতেন। ছাত্রসংঘের ও আলবদর বাহিনীর সুপিরিয়র নেতা হিসেবে আর্মি ক্যাম্পে উপস্থিত ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে স্বাধীনতাবিরোধী নানা অপরাধের পরামর্শ ও ষড়যন্ত্র করতেন। এ ধরনের পরামর্শ ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে মুজাহিদ ১০ ডিসেম্বর থেকে পরিচালিত বুদ্ধিজীবী নিধনসহ হত্যা, নির্যাতন, বিতাড়নের মতো যাবতীয় মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যা সংঘটিত করেন।
আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখার প্রতিক্রিয়ায় ছেলে আলী আহমেদ মাবরু বলেন, ‘আমরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছি। বুদ্ধিজীবীদের হত্যার অভিযোগে তাঁকে যে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে, তিনি এতে জড়িত ছিলেন না। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই সরকার তাঁকে রাজনৈতিকভাবেই হত্যার পরিকল্পনা করেছে।’
আজ একই সময় বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রিভিও আবেদন খারিজ করে তারও মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখার নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রমাণিত নয়টি অভিযোগের মধ্যে ৩, ৫, ৬ ও ৮ নম্বর অভিযোগে ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।