বিদ্যুৎ প্ল্যান্টে হতাহতদের স্বজনদের মধ্যে চেক বিতরণ
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে নির্মাণাধীন কয়লাভিত্তিক এস আলম গ্রুপের বিদ্যুৎকেন্দ্রে হতাহত শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যদের হাতে ক্ষতিপূরণের চেক বিতরণ করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে
স্থানীয় সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পরিবারের সদস্যদের হাতে এসব চেক তুলে দেন।
চেক বিতরণ অনুষ্ঠান সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘একটি কুচক্রি মহল ষড়য়ন্ত্র করে কিছু শ্রমিক নামধারীকে অস্ত্র দিয়ে বাঁশখালী বিদ্যুৎপ্ল্যান্টে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এলাকার পরিবেশ এখন শান্ত রয়েছে।’
তবে এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন বিদ্যুৎ প্ল্যাট উদ্বোধন হলে সারা দেশের বিদ্যুৎ চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে বলে জানান সংসদ সদস্য।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহায়তা বাবদ ২২ জন শ্রমিকের মধ্যে চট্টগ্রাম অঞ্চলের সাত জনের পরিবারের সদস্যদের হাতে এসব সহায়তা দেয়। এর মধ্যে নিহতদের পরিবারকে দুই লাখ ও আহত শ্রমিকদের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়।
গত ১৭ এপ্রিল রমজান মাসে কর্মঘণ্টা কমানো, মাসের ১০ তারিখের মধ্যে বকেয়া বেতন পরিশোধ, নামাজের সুযোগ, শুক্রবার অর্ধদিবস ছুটি, পানি ও বাথরুম সুবিধা নিশ্চিত, চীনাদের হাতে শ্রমিক নির্যাতন বন্ধসহ ১২ দফা দাবি জানিয়ে আন্দোলন করে শ্রমিকরা। এ সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন সাত শ্রমিক। আহত হয় আরও অর্ধশত।
এস আলম গ্রুফের মালিকানাধীন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বাঁশখালী উপজেলার গণ্ডামারায় নির্মাণ করছে চীনের একটি প্রতিষ্ঠান। এ কেন্দ্র থেকে এক হাজার ২২৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে।এটি নির্মাণের শুরুতে ২০১৬ সালের ৪ এপ্রিল বাঁশখালীর কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্প অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার দাবিতে এলাকাবাসীর সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে চারজন নিহতের ঘটনা ঘটেছিল।