তালেবান রাজনীতির উত্থান ঘটতে পারে, আশঙ্কা মেজর হাফিজের
সরকার পরিবর্তনে জনগণ ভোটাধিকারের ক্ষমতা ফিরে না পেলে দেশে আফগানিস্তানের মতো তালেবান রাজনীতির উত্থান ঘটবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীরবিক্রম।
আজ শুক্রবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে নারীনেত্রী অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীসহ গ্রেপ্তারকৃত বিএনপির নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে প্রতিবাদ সভায় হাফিজ এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
মেজর হাফিজ বলেন, দেশে মানুষের কোনো ভোটাধিকার নেই। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি ও ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে দেশের মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। বর্তমানে যারা ক্ষমতায় রয়েছে তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়, তারা জোর করে ক্ষমতায় আছে। আমি আওয়ামী লীগ সরকারকে বলব, অবিলম্বে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘এভাবে দিনের পর দিন চলতে থাকলে, জনগণকে যদি তার সরকার পরিবর্তনের ক্ষমতা ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া না হয়, তাহলে দেশে আফগানিস্তানের মতো তালেবান রাজনীতির উত্থান ঘটবে। এটা হলে তার জন্য আওয়ামী লীগ দায়ী থাকবে। আমি সরকারকে বলব, দেশের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোকে স্পেস দেন।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা গণতন্ত্র। নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে আমরা স্বাধীন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ নামক একটি দেশ বিশ্বের মানচিত্রে প্রতিষ্ঠা করেছি।
সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চ রাতে মেজর জিয়াউর রহমান ‘উই রিভোল্ট’ বলে এবং কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে ২৭ মার্চ প্রথমে নিজের নামে পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে স্বাধীনতা ঘোষণা ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। সেই দলের নেতাকর্মী আমরা।
মেজর হাফিজ আরও বলেন, গণতন্ত্র ফেরানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব হয়ে গেছে। তাই এই মুহূর্তে বিএনপিকে গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। এই সময় তিনি নিপুণ রায়সহ গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি জানান।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বজলুল বাছিত আনজুর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম প্রমুখ।