চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল : রাতে ম্যানসিটি-চেলসি মহারণ
আজ শনিবার দিবাগত রাতে মাঠে গড়াচ্ছে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল। শিরোপার লড়াইয়ে সাবেক চ্যাম্পিয়ন চেলসির মুখোমুখি হবে প্রথমবার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের স্বপ্ন দেখতে থাকা ম্যানচেস্টার সিটি। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ১টায়।
চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে এবারের রঙ নীল। গাঢ় নীল আর আকাশি নীলের দুদল বিভোর একই স্বপ্নে। একদিকে লন্ডনের ক্লাব চেলসি, অন্যদিকে ম্যানচেস্টার শহরের ক্লাব। ২০১৯ সালের পর আবার ‘অল ইংলিশ’ ফাইনাল। তাই যেই জিতুক না কেন, ট্রফি আসছে ইংল্যান্ডের ঘরেই।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে অন্যতম দল হলেও ইউরোপসেরা প্রতিযোগিতা চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা ছোঁয়া হয়নি ম্যানসিটির। তাই এবার ইতিহাস ডাকছে সিটিকে। দলটির কোচ পেপ গার্দিওয়ালাও হাঁটছেন বার্সেলোনার পর এবার ইংলিশ ক্লাবটির হয়ে শিরোপা জিততে।
শিরোপা যুদ্ধকে সামনে রেখে শিষ্যদের প্রতি গার্দিওয়ালার বার্তা, ‘আমি তাদের স্বাভাবিক থাকতে বলেছি। যতটা সম্ভব ওদের নিজেদের মেলে ধরতে হবে। আমার বিশ্বাস ওরা খুব ভালোভাবেই সব সামাল দিয়ে মাঠে যার যার কাজটা করবে।’
যদিও ফাইনালে শুরুর একাদশ সাজাতে মধুর সমস্যায় পড়েছেন সিটির কোচ। সার্জিও আগুয়েরো, গাব্রিয়েল জেসুস, রাহিম স্টার্লিংয়ের মতো তারকাদের মধ্যেও কাউকে হয়তো শুরুর একাদশে জায়গা দিতে পারবেন না গার্দিওয়ালা। এ ব্যাপারে সিটির কোচের ভাষ্য, ‘কাজটা ভীষণ কঠিন। সত্যিকার অর্থেই ভয়ানক। জীবনে আপনারা কেউ কোচ হবেন না। এটা বোঝানোর জন্য সুন্দর শব্দ আমার কাছে নেই। কিন্তু আমার উপদেশ হচ্ছে, দলের পাশে থাকো। যেহেতু পাঁচ বা ছয়জন বেঞ্চে থাকবে, (তাদেরকে বলব) জীবন তোমাদের অন্য আরেকটি সুযোগ দেবে।’
অন্যদিকে তৈরি আছেন চেলসি কোচ টমাস তুখেলও। গেল আসরে পিএসজিকে ফাইনালে তুলেছিলেন তিনি। এবার কোচ হলে চেলসি এসে তাদেরও তুললেন চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে। টানা দ্বিতীয় ফাইনালে ডাগআউটে থাকতে যাওয়া কোচ জানালেন, ম্যাচের ৯০ মিনিট কাজে লাগাতে চান তিনি, ‘সম্ভবত এ মুহূর্তে ম্যানসিটি ইউরোপ বা হয়তো বিশ্বের সব দলের চেয়েও শক্তিশালী দল। তাদের সঙ্গে আমাদের ব্যবধান অনেক। কিন্তু এফএ কাপের সেমিতে, লিগের শেষ দেখায় যেভাবে ৯০ মিনিটে আমরা দূরত্ব ঘুচিয়েছিলাম, একইভাবে পর্তোতেও সেই কাজটিই করতে চাই আমরা।’
তুরস্কের ইস্তাম্বুল থেকে সরে এবারের ফাইনাল হবে পর্তুগালের পোর্তোতে। মাঠে বসে নীলদের রাজত্ব বিস্তারের লড়াই দেখতে পারবেন সাড়ে ১৬ হাজার দর্শক। কিন্তু প্রচার মাধ্যমের কল্যাণে বিশ্বের কোটি কোটি দর্শক অসাধারণ এক ম্যাচে ডুব দিতে অপেক্ষা করছে।