উৎসবের রাতে বাবাকে দেখে কেঁদেছিলেন মাউন্ট
পোর্তোর এস্তাদিও দো দ্রাগাওয়ে স্টেডিয়াসে ম্যানচেস্টার সিটিকে ইতিহাস গড়তে দিল না চেলসি। কাই হাভার্টজের একমাত্র গোলে চ্যাম্পিয়্নস লিগের মুকুট পরল লন্ডনের ক্লাবটি। ম্যাচে একমাত্র গোল করে নায়ক হাভার্ট হয়েছিলেন ঠিকই। কিন্তু, তার পেছনের কারিগর হলেন মেসন মাউন্ট।
ম্যাচের ৪২তম মিনিটে গোলরক্ষক মঁদির বাড়ানো বল মাঝমাঠে পেয়ে সুযোগ বুঝে হাভার্টজের উদ্দেশে পাস দেন ম্যাসন মাউন্টই। অন্যদিকে পোস্ট ছেড়ে বাইরে চলে আসেন এদেরসন। এর মধ্যেই দারুণ থ্রোতে ফাঁকা জালে বল পাঠিয়ে দেন হাভার্টজ। উৎসবে মেতে ওঠে পুরো দল। হাভার্টকে জয়ের নায়ক বানানো মাউন্টের কাছে, চেলসি এখন বিশ্বসেরা ক্লাব।
ম্যাচ শেষে নিজের বাবাকে দেখে আনন্দে কেঁদেছিলেন তিনি। কিছুদিন আগেও মাউন্টকে নিয়ে বেশ সামলোচনা করেছিল চেলসি ভক্তরা। অনেকে মাউন্টের একাদশে সুযোগ পাওয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। কিন্তু সেই মাউন্টই কাল বড় ভূমিকা রেখেছেন ম্যাচ জয়ে।
এমন প্রাপ্তির রাতে নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারেননি মাউন্ট। বিটি স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মাউন্ট বলেন, ‘এই অভিজ্ঞতা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। এই মুহূর্তে আমরা বিশ্বের সেরা ক্লাব। এই গৌরব কেউ আমাদের কাছ থেকে কেড়ে নিতে পারবে না। এটা অবিশ্বাস্য। ম্যাচ শেষে আমার বাবা স্ট্যান্ড থেকে নেমে এলেন, তাঁকে দেখে কান্না আটকে রাখতে পারিনি। পরিবারকে ধন্যবাদ জানাই, সবকিছুর জন্য।’
মাউন্ট আরও যোগ করেন, ‘আমি এর আগে চেলসির হয়ে দুটি ফাইনাল খেলেছি, দুটিতেই হেরেছি। বেশ কষ্ট পেয়েছি তখন। আমি সব সময় চেলসির হয়ে একটি শিরোপা জিততে চেয়েছি। চ্যাম্পিয়নস লিগে বেশ কিছু কঠিন দলের বিপক্ষে খেলেছি। ফাইনালে উঠেছি এবং জিতেছি। এটা দুর্দান্ত একটা মুহূর্ত ।’