বারহাট্টায় অগ্নিকাণ্ডে ছাই হলো কৃষকের স্বপ্ন
ক্ষুদ্র দুই কৃষক পরিবারের কপালে সুখ সইল না। অগ্নিকাণ্ডে ধান-চাল, আসবাবপত্রসহ বসতঘর সবকিছুই পুড়ে ছাই হয়ে গেল। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শনিবার বিকেলে নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার সিংধা ইউনিয়নের কাকুড়া গ্রামে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, জেলার বারহাট্টা উপজেলার কাকুড়া গ্রামের ক্ষুদ্র কৃষক সুকুমার দেবনাথ ও সম্প্রতি প্রয়াত ভাই গৌরাঙ্গ দেবনাথ পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত কিছু জমি ও গ্রামের অন্য লোকের জমি বর্গা নিয়ে চাষাবাদ করে সংসার চালান। গৃহস্থালির পাশাপশি তারা স্থানীয় বাজারে মাঝেমধ্যে পানের ব্যবসা করেন। আর তা থেকে যা রোজগার হয় তা দিয়ে দুই ভাই মিলে দুটি টিনের চৌচালা ঘর নির্মাণ করেন। তাদের সংসার ভালোই চলছিল।
হঠাৎ করে গতকাল শনিবার বিকেলে তাদের সুখের সংসার আগুন লেগে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। খবর পেয়ে পাশের মোহনগঞ্জ থেকে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছে সন্ধ্যা পর্যন্ত চেষ্টা করে আগুন নেভায়। ততক্ষণে ঘরে থাকা ধান, চাল, কাপড়, আসবাবপত্র সবকিছু পুড়ে শেষ হয়ে গেছে। অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দুটি পরিবারকেই অন্যের আশ্রয়ে থাকতে এবং খেতে হচ্ছে।
খবর পেয়ে স্থানীয় সিংধা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ্ মাহবুব মোর্শেদ কাঞ্চন আজ রোববার বিকেলে পুড়ে যাওয়া ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের বাড়িতে যান এবং তাদের সমবেদনা ও আর্থিক সহায়তা দেন।
কৃষক সুকুমার দেবনাথ বলেন, ‘অনেক কষ্ট করে আমরা দুই ভাই দুটি ঘর বানিয়েছিলাম। ছেলে-মেয়েদের সুখেই আমাদের সংসার চলছিল। কিন্তু বিধাতা আমাদের কপালে সুখ দিল না। অগ্নিকাণ্ডে আমাদের সব শেষ হয়ে গেছে। পরনের কাপড়টুকু ছাড়া বাকি সব শেষ হয়ে গেছে।’
সিংধা ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ্ মাহবুব মোর্শেদ কাঞ্চন বলেন, অগ্নিকাণ্ডে ওই দুটি পরিবারের সব কিছু পুড়ে গেছে। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। সরকারিভাবে সহায়তার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।
বারহাট্টা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গোলাম মোরশেদ বলেন, অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে দুটি পরিবারের বেশ কিছু ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে ক্ষতির পরিমাণ জানিয়ে আবেদন করার জন্য বলা হয়েছে। পরে সরকারিভাবে তাদের সহায়তা করা হবে।