এনটিআরসিএ কম্পিউটার নিবন্ধনধারীদের নিয়োগে রুল
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কম্পিউটার নিবন্ধনধারীদের বৈধ প্রার্থী হিসেবে আবেদনের সুযোগ ও এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ প্রদান কেন করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে কেন তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি/কম্পিউটার বিষয়ে ২০১৫ সালের পূর্বে নিবন্ধনধারীদের বৈধ প্রার্থী হিসেবে আবেদনের সুযোগ ও নিয়োগ প্রদানের নির্দেশনা প্রদান করা হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার ৩২ কম্পিউটার শিক্ষকের দায়ের করা রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দু কুমার রায়। রিটে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব, এনটিআরসিএর চেয়ারম্যানসহ চারজনকে বিবাদী করা হয়।
আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, ২০১৫ সালের ১৪ জুন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জনবলকাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১০ সংশোধন করা হয়। তখন আগের স্বীকৃত সহকারী শিক্ষকের (কম্পিউটার) শিক্ষাগত যোগ্যতা ‘বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্নাতক ডিগ্রি/সমমান এবং সরকার অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান থেকে কম্পিউটার বিষয়ে ন্যূনতম ছয় মাসের প্রশিক্ষণ’ সংশোধন করে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে তিন বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার সায়েন্স ডিগ্রি করা হয়। কিন্তু ইতোমধ্যে আবেদনকারীরা পূর্বের নীতিমালা অনুসারে তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি/কম্পিউটার বিষয়ে এনটিআরসি কর্তৃক নিবন্ধন গ্রহণ করলেও তাদের তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি তথা শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদান করা হয়নি। তাই তারা সংক্ষুব্ধ হয়ে আদালতে রিট করেন।
রিটকারীরা হলেন বিভিন্ন জেলার মো. আবদুল্লাহ শিবলি, মো. সাজ্জাক আলী, সুকান্ত কুমার দাস, নির্মল কুমার, মো. মাহমুদুল হাসান, রোজিনা আক্তারসহ মোট ৩২ জন।