সবচেয়ে বেশি করোনা শনাক্তের হার খুলনা বিভাগে, কম ঢাকায়
নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও এক হাজার ৯৭০ জন আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট আট লাখ ১২ হাজার ৯৬০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। নতুন আক্রান্তের মধ্যে সর্বাধিক আক্রান্ত হয়েছে রাজশাহী বিভাগে। এ বিভাগে নতুন আক্রান্ত হয়েছে ৬০৭ জন। এর পরে ঢাকা বিভাগে ৪৫৪ জন ও খুলনা বিভাগে ৪২৭ জন আক্রান্ত হয়েছে।
তবে করোনার নমুনার বিপরীতে শনাক্তের হার সবচেয়ে বেশি খুলনা বিভাগে। আর সবচেয়ে কম ঢাকা বিভাগে। খুলনা বিভাগে শনাক্তের হার ৩০ দশমিক ৩৩ শতাংশ, রংপুর বিভাগে ২১ দশমিক ৩২ শতাংশ, রাজশাহী বিভাগে ১৮ দশমিক ১৫ শতাংশ, সিলেট বিভাগে ১৬ দশমিক ৭২ শতাংশ, বরিশাল বিভাগে ১৫ দশমিক ১৯ শতাংশ, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৩ দশমিক ১৯ শতাংশ, ময়মনসিংহ বিভাগে ১০ দশমিক ১৭ শতাংশ ও ঢাকা বিভাগে করোনা শনাক্তের হার ৫ দশমিক ০২ শতাংশ।
আজ সোমবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে কোন বিভাগের কোন জেলায় নতুন কতজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে, তা এনটিভি অনলাইনের পাঠকদের উদ্দেশে তুলে ধরা হলো:
ঢাকা বিভাগ : ঢাকা জেলা ও মহানগরে মোট সাত হাজার ৭৮৬টি নমুনার মধ্যে ২৬৯ জন, ফরিদপুরে ১৫৬টির মধ্যে ৪৪ জন, গাজীপুরে ২৩৯টির মধ্যে ২৫ জন, গোপালগঞ্জে ৬৯ টির মধ্যে ১২ জন, কিশোরগঞ্জে ২২৬টির মধ্যে ১৮ জন, মাদারীপুরে ২৪টির মধ্যে একজন, মানিকগঞ্জে ৫৫টির মধ্যে সাতজন, মুন্সীগঞ্জে ২৫টির মধ্যে দুইজন, নারায়ণগঞ্জে ১৮৩টির মধ্যে ১৯ জন, রাজবাড়ীতে ৩৯টির মধ্যে শূন্যজন এবং টাঙ্গাইলে ১৩১টির মধ্যে ২৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শরীয়তপুর জেলার কোনো পরিসংখ্যান দেয়নি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। করোনা শনাক্তের হার ৫ দশমিক ০২ শতাংশ।
ময়মনসিংহ বিভাগ : ময়মনসিংহ জেলায় ৩৬০টি নমুনার মধ্যে ৩২ জন, নেত্রকোনায় ৩৬টির মধ্যে চারজন, জামালপুরে ৫৯টির মধ্যে ১০ জন ও শেরপুরে ২৭টির মধ্যে তিনজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। করোনা শনাক্তের হার ১০ দশমিক ১৭ শতাংশ।
চট্টগ্রাম বিভাগ : চট্টগ্রাম জেলায় ৪৫৯টি নমুনার মধ্যে ৬০ জন, কক্সবাজারে ৩৬৫টির মধ্যে ৩৯ জন, বান্দরবানে আটটির মধ্যে কোনো শনাক্ত হয়নি, রাঙামাটিতে ৫৬টির মধ্যে পাঁচটি, খাগড়াছড়িতে ২৯টির মধ্যে তিনজন, ফেনীতে ৭৬টির মধ্যে ১৯টি, নোয়াখালীতে ৩৯৭টির মধ্যে ৯৪ জন, চাঁদপুরে ১২৭টির মধ্যে ১৪ জন, কুমিল্লায় ২৮৩টির মধ্যে ১০ জন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৫০টির মধ্যে কেউ শনাক্ত হয়নি। লক্ষ্মীপুর জেলার করোনার কোনো পরিসংখ্যান দেয়নি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। করোনা শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ১৯ শতাংশ।
রাজশাহী বিভাগ : রাজশাহী জেলায় ৮৯৫টির মধ্যে ২৭০ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩৯২টির মধ্যে ৭৫ জন, নাটোরে ৯৭টির মধ্যে ৩৫ জন, নওগাঁয় এক হাজার ১৯৪টির মধ্যে ১১৯ জন, পাবনায় ২৫৫টির মধ্যে ১৬ জন, সিরাজগঞ্জে ১১৯টির মধ্যে ১৫ জন, বগুড়ায় ১৬৮টির মধ্যে ১৬ জন ও জয়পুরহাটে ২২৪টির মধ্যে ৬১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। করোনা শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ১৫ শতাংশ।
রংপুর বিভাগ : রংপুর জেলায় ১৪৬টি নমুনার মধ্যে ২৮ জন, নীলফামারীতে ১৬টির মধ্যে তিনজন, লালমনিরহাটে ২২টির মধ্যে আটজন, কুড়িগ্রামে দুটির মধ্যে দুইজন, ঠাকুরগাঁওয়ে ৭৯টির মধ্যে ১৮ জন, দিনাজপুরে ১৫৮টির মধ্যে ৩৩ জন ও গাইবান্ধায় ১৮টির মধ্যে দুইজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। পঞ্চগড় জেলার কোনো পরিসংখ্যান দেয়নি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। করোনা শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৩২ শতাংশ।
খুলনা বিভাগ : বাগেরহাট জেলায় ৫৮টি নমুনার মধ্যে ৩২ জন, চুয়াডাঙ্গায় ২৯টির মধ্যে আটজন, যশোরে ৫১৭টির মধ্যে ১৬১ জন, ঝিনাইদহে ৬৯টির মধ্যে আটজন, খুলনায় ৩০৩টির মধ্যে ৭৯ জন, কুষ্টিয়ায় ২৩২টির মধ্যে ৫৬ জন, মাগুরায় ৪২টির মধ্যে ছয়জন, মেহেরপুরে ৩১টির মধ্যে ১০ জন, নড়াইলে ৩৩টির মধ্যে ১৭ জন ও সাতক্ষীরায় ৯৪ জনের মধ্যে ৫০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। করোনা শনাক্তের হার ৩০ দশমিক ৩৩ শতাংশ।
বরিশাল বিভাগ : বরিশাল জেলায় ৪৯টি নমুনার মধ্যে আটজন, পটুয়াখালীতে ১০৯টির মধ্যে আটজন, ভোলায় ২২টির মধ্যে দুইজন, পিরোজপুরে ২৮টির মধ্যে ১৫ জন, বরগুনায় ৩৩টির মধ্যে চারজন ও ঝালকাঠিতে ২৯টির মধ্যে চারজনের শনাক্ত হয়েছে। করোনা শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ১৯ শতাংশ।
সিলেট বিভাগ : সিলেট জেলায় ১৭৫টি নমুনার মধ্যে ২৯ জন, সুনামগঞ্জে ৩২টির মধ্যে সাতজন, হবিগঞ্জে ২৩টির মধ্যে একজন ও মৌলভীবাজারে ৯৩টির মধ্যে ১৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। করোনা শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৭২ শতাংশ।