ট্যারা চোখ নিয়ে শিশুর জন্ম হলে কী করবেন
শিশুর চোখে নানা রকম সমস্যা হতে পারে। আর এসব নিয়ে চিন্তিত থাকেন অভিভাবকেরা। চোখে জন্মগত ত্রুটি নিয়ে জন্মায় অনেক শিশু। এর মধ্যে ট্যারা চোখ অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। আজ আমরা এসব বিষয়ে বিস্তারিত জানব একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে এ বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন ডা. জাফরুল হাসান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন ডা. মুনা তাহসিন।
ডা. জাফরুল হাসান বলেন, ট্যারা চোখ নিয়ে শিশুর জন্ম একটি খুব বড় চ্যাপ্টার। বাংলাদেশেও এটি খুব কমন। আমরা প্রথম দিকে বলি যে যখনই লেজি আই, ট্যারা চোখ নিয়ে... একটা চোখ সোজা থাকার চেয়ে আরেকটা হয়তো বাইরের দিকে গেছে অথবা ভেতরের দিকে। দুই ধরনের ট্যারা হয়। একটা হলো আউটওয়ার্ড, আরেকটা ইনওয়ার্ড। অথবা উপরে-নিচেও ট্যারা হয়, একটা ওপরের দিকে চলে গেল, একটা নিচের দিকে নেমে গেল। এ ধরনের পেশেন্ট যখন আসে, তখন ফুল ইভ্যালুয়েশন করতে হয়। ফুল ইভ্যালুয়েশন বলতে তার ইফারটিভ এরর আছে কি না, এটা হলো এক নম্বর। তার চমশাজনিত কোনো সমস্যা আছে কি না। যেমন মাইল্ড যদি হয়, মাইল্ড ট্যারা... মা বলে যে, যখন একটু অন্যমনস্ক হয়, তখন একটু মনে হয় চোখটা ট্যারা। এ ধরনের কেসগুলোতে ইন্টারমিটেড, সব সময় বোঝা যায় না, মাঝেমাঝে হয়তো বোঝা যায়। মাইল্ড কেসগুলো সাধারণত চমশাজনিত সমস্যার কারণেই বেশি হয়ে থাকে। এগুলো দেখা যায়, চশমা যদি আমরা ঠিকমতো দিতে পারি, তাহলে কারেক্টেড হয়ে যায়।
ডা. জাফরুল হাসান আরও বলেন, কিছু বোঝাই যায় যে চোখটা বাইরের দিকে চলে গেছে। এ ধরনের কেস ইভ্যালুয়েশন করে, তার নার্ভের ইভ্যালুয়েশন, মাসলের ইভ্যালুয়েশন, অর্থোক্টিক ইভ্যালুয়েশন বলে; অর্থোক্টিক, ইভ্যালুয়েশন বলতে তার মাসল ব্যালান্সগুলো ঠিক আছে কি না। আমাদের চোখের চারপাশে মাংসপেশি আছে, রজ্জুর মতো চারদিকে; চোখটাকে ঘোরাচ্ছে ডানে-বামে। এই পেশিগুলোতে কোনো দুর্বলতা আছে কি না, জন্মগতভাবে অথবা অ্যাকোয়ার্ড কোনো আঘাতজনিত কারণে; জন্মগত কারণে হয়ে থাকে, অথবা আঘাতজনিত কারণে বা চশমাজনিত কারণে; কোনো একটা মাসলে হয়তো উইকনেস আছে... আমাদের চোখ কিন্তু সিনক্রোনাইজড, ভাইবোনের মতো। সে যদি এই দিকে তাকায়, এ ওই দিকে তাকাবে। সিনক্রোনাইজড। এখানেও যদি কোনো অসুবিধা হয়, তখন কুইন্ট হয়ে যায়। মাইল্ড, মডারেট কুইন্ট হয়। আমরা সাধারণত বলি, চশমা দিয়ে আমরা কারেক্ট করার চেষ্টা করি। চশমা যদি না হয়, আমরা কিছু ব্যায়াম দিয়ে দিই। ব্যায়াম দিয়ে আমরা কারেক্ট করার চেষ্টা করি। তার পরেও যদি না হয়, তখন হয়তো সার্জারিতে যেতে হয়।