কিশোরগঞ্জে প্রবাল হত্যা মামলার প্রধান আসামি কারাগারে
কিশোরগঞ্জে প্রবাল নামের এক কিশোরকে হত্যা মামলার মূল আসামি কিশোর গ্যাংয়ের প্রধান অন্তরকে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে আসামি অন্তর জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. রফিকুল বারীর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। ভার্চুয়ালি শুনানির পর বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
নিহত প্রবাল ভৈরব বাসস্ট্যান্ড এলাকার মাতৃকা জেনারেল হাসপাতালের মালিক ও নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হোসেন ভূঁইয়ার ছেলে।
আদালতের নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) মাহবুবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বিচারকের নির্দেশের পর আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার এজাহার উল্লেখিত তথ্যে জানা যায়, গত ১ জুন রাত ১০টার দিকে প্রবাল ভুঁইয়া নামের এক কিশোরকে প্রতিপক্ষ কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা হত্যা করে। খবর পেয়ে পুলিশ ভৈরব সদরের বাসস্ট্যান্ড দুর্জয় মোড় এলাকার সরদার হোটেলের পেছনে শাকিল মোটরস নামের একটি দোকানের তালা ভেঙে তার লাশ উদ্ধার করে। ঘটনার পর গ্যাংপ্রধান অন্তর ও তার কয়েক সহযোগীকে রক্তমাখা কাপড়ে ওই এলাকা থেকে পালিয়ে যেতে দেখে এলাকার লোকজন।
এ ঘটনায় নিহত প্রবালের বাবা মো. হোসেন ভুঁইয়া বাদী হয়ে অন্তরকে প্রধান এবং ছয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও চারজনকে আসামি করে ভৈরব থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
পুলিশ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এর আগে অন্তরের বাবা জিল্লু মিয়া ও রাজন, সাকিব, তৌহিদ নামের তিন কিশোরসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে।
নিহত প্রবালের ভাই ডা. প্রিন্স ভূঁইয়া জানান, এই চক্রটি এর আগে ঈদের দিনও তাঁর ছোট ভাইয়ের ওপর আক্রমণ করেছিল। তখন তারা বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিয়ে সমবয়সীদের মধ্যে ছোটখাট ঝগড়া বলে মনে করেছিলেন। তবে সে ঘটনার পর থেকে প্রবাল খুব আতংক আর ভয়ের মধ্যে দিন কাটাতো। খুব একটা বাইরে বের হতো না। অন্তরের নেতৃত্বে পরিচালিত চক্র তাঁর ভাইকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।