চীনের উপহারের ছয় লাখ কোভিড টিকা ঢাকায় আসছে রোববার
চীনের দ্বিতীয় দফা উপহারের ছয় লাখ কোভিড টিকা আগামী রোববার ঢাকায় আসছে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় চীনা দূতাবাসের উপ-রাষ্ট্রদূত হুয়ালং ইয়ান। তিনি আজ শুক্রবার সকালে তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এ তথ্য জানান।
ফেসবুকে কয়েকটি ছবিসহ হুয়ালং ইয়ান এক পোস্টে লিখেছেন, ‘চীনের উপহারের ছয় লাখ টিকা বেইজিং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাচ্ছে।’
এ ছাড়া টিকার চালানটি ১৩ জুন (রোববার) ঢাকায় আসবে বলে জানান হুয়ালং ইয়ান।
এর আগে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেছেন, চীনের কাছ থেকে বাংলাদেশের টিকা সংগ্রহ এবং যৌথভাবে করোনার টিকা উৎপাদনের ব্যাপারে দুই দেশের মধ্যে ফলপ্রসূ আলোচনা চলছে। ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম এবং বাংলাদেশ চীন চেম্বার অব কমার্সে এন্ড ইন্ডাসিট্রির (বিসিসিসিআই) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় গত বুধবার এ কথা বলেন চীনা রাষ্ট্রদূত।
অনুষ্ঠানে চীনা রাষ্ট্রদূত জানান, যৌথভাবে টিকা উৎপাদনের ব্যাপারে আলোচনা বেশ ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে।
রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, ‘চীনের দুঃসময়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মেডিকেল সামগ্রী সহায়তার কথা ভুলবে না চীন। এরই ধারাবাহিকতায়, বাংলাদেশের প্রয়োজনের সময় বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে চীন।’
চীনা রাষ্ট্রদূত জানান, চীন সরকার খুব দ্রুতই দ্বিতীয় দফায় উপহার স্বরূপ আরও টিকা পাঠাবে। আগামী ১৩ জুনের মধ্যে টিকা বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রদূত লি।
এর আগে গত ৫ জুন চীনের দ্বিতীয় দফার উপহারের ছয় লাখ কোভিড টিকা আগামী ১৩ জুনের মধ্যে ঢাকায় আসতে প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান ঢাকায় চীনের দূতাবাসের মিনিস্টার কাউন্সেলর ও ডেপুটি চিফ অব মিশন হুয়ালং ইয়ান। ফেসবুক স্ট্যাটাসে হুয়ালং ইয়ান বলেন, চীন সরকারের পক্ষ থেকে উপহারের ছয় লাখ টিকা ১৩ জুনের মধ্যে সরবরাহের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এর আগে গত ১২ মে চীন সরকারের পক্ষ থেকে পাঁচ লাখ ডোজ করোনার টিকা উপহার হিসেবে ঢাকায় পৌঁছানোর নয় দিনের মাথায় চীন সরকার দ্বিতীয় দফায় উপহার হিসেবে টিকা পাঠানোর ঘোষণা দেয়।
এর আগে বাংলাদেশ সরকার জানায়, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কার্যকারিতা, নিরাপত্তা ও মান বিবেচনায় চীনের টিকা উত্তীর্ণ হয়েছে। ফলে বাংলাদেশে টিকাটির জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও চীনের কোম্পানি সিনোফার্মের তৈরি করোনার টিকা ‘সিনোভ্যাক’ জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। উন্নয়নশীল ও দরিদ্র দেশগুলোর মানুষের জন্য করোনা টিকার তহবিল কোভ্যাক্স এই টিকা কিনবে বলেও জানানো হয়।
সিনোফার্মের টিকাটি মাত্র দুই থেকে আট ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায়, অর্থাৎ সাধারণ রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষণ করা যায়। এ কারণে এই টিকাকে সহজে সংরক্ষণযোগ্য টিকাগুলোর মধ্যে অন্যতম বলা হচ্ছে।