ভৈরবে আড়তে ৭০ কেজি চিংড়িতে ক্ষতিকর জেলি, ৪ ব্যবসায়ীকে জরিমানা
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে চিংড়িতে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর জেলি পাওয়ায় চার মাছ ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে ৭০ কেজি চিংড়ি জব্দ করা হয়। আজ রোববার বিকেলে ভৈরবের পলতাকান্দায় বিভিন্ন মৎস্য আড়তে এই অভিযান চালানো হয়।
পরে শ্যামলী মৎস্য আড়তের ব্যবসায়ী রাব্বি মিয়া (২০), নূর ফিস আড়তের পুলক দাস (২০), পারভেজ মৎস্য আড়তের শান্ত আহমেদ (২২) ও শাপলা মৎস্য আড়তের হোসেন মিয়াকে (৩৫) ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লুবনা ফারজানা পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় ৭০ কেজি চিংড়ি মাছ জব্দ করে বিশেষ প্রক্রিয়াকরণ করে তা এতিমখানায় বিলি করা হয়।
স্থানীয় মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, আজ বিকেল ৫টার দিকে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. লতিফুর রহমানের নেতৃত্বে একটি দল অভিযান চালায় এসব মাছের আড়তে। অভিযানের সময় জেলিমাখা চিংড়িগুলো বিক্রিকালে জব্দ করা হয়। পরে খবর পেয়ে ইউএনও লুবনা ফারজানা ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এই জরিমানা করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে লুবনা ফারজানা বলেন, মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর জেলি চিংড়ি মাছে লাগিয়ে ওজন বাড়িয়ে ক্রেতাদের প্রতারিত করছিল এই চক্রটি। তাই মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ ও পরিবহণ আইনে তাদের অভিযুক্ত করে এই জরিমানা করা হয়।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. লতিফুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নৌথানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.সাইদুর রহমান ও উপপরিদর্শক (এসআই) রাসেল আহমেদের নেতৃত্বে একদল নৌপুলিশের সহযোগিতায় ভৈরবের মেঘনা নৈশ আড়তে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে শ্যামলী মৎস্য আড়ত, নূর ফিস আড়ত, পারভেজ মৎস্য আড়ত ও শাপলা মৎস্য আড়ত থেকে ৭০ কেজি জেলিমাখা চাষ করা চিংড়ি জব্দ করা হয়। এই জেলি মানবদেহে ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে। এ ছাড়া এতে ওজনও বৃদ্ধি পায়। ফলে ক্রেতাতের অধিকার ক্ষুণ্ণ হয়।
ভোক্তা অধিকার রক্ষায় আগামীতেও এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই মৎস্য কর্মকর্তা।