ভৈরবে প্রতিপক্ষের হামলায় একজন নিহত
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে জমি সংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষের হামলায় মোলায়েম হোসেন বাবু (২১) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন। এ সময় ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে ২০ থেকে ২৫টি বাড়িঘর।
আজ সোমবার উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের মানিকদী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত বাবু মানিকদী গ্রামের কালা মিয়ার ছেলে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
এলাকাবাসী জানায়, গ্রামের কালা মিয়া ও মজনু মিয়া একই বংশের চাচাতো ভাই। তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। এ বিরোধ মীমাংসায় এলাকায় আট থেকে ১০ বার সালিশ-দরবার করেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও মাতব্বররা। সেসব সালিশ-দরবারের রায় কালা মিয়া বরাবর মানলেও মজনু মিয়া তা মানতে চান না। সর্বশেষ গত দুই দিন আগে আবারও সালিশ বৈঠকে বসেও বিরোধ মীমাংসা করা যায়নি।
আজ সকালে মজনু মিয়ার লোকজন কালা মিয়ার বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়। হামলাকারীরা কালা মিয়ার পক্ষের লোকজনের বাড়িঘর বাঙচুর ও লুটপাট শুরু করলে মোলায়েম হোসেন বাবু ঘর থেকে বের হয়ে এগিয়ে গেলে তারা তাকে ছুরিকাঘাত করে। এতে তিনি গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে তার স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে বাজিতপুরের ভাগলপুরের জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
কালা মিয়া দাবি করেন, তিনিসহ এ সময় তার পক্ষের আরও পাঁচ-ছয়জন আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
এ ব্যাপারে গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ গোলাম সারোয়ার গোলাপ জানান, গ্রামের কালা মিয়া ও মজনু মিয়া নামের দুই জ্ঞাতি ভাইয়ের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। তিনি এলাকাবাসীকে নিয়ে বেশ কয়েকবার সালিশ-বৈঠক করেও বিরোধ মীমাংসা করতে পারেননি। এ নিয়ে দুদিন আগেও সালিশে বসেছিলেন। কিন্তু মজনুপক্ষ সালিশের রায় মেনে নেয়নি। আজ সকালে মজনু মিয়ার পক্ষের লোকজন কালা মিয়ার ছেলে বাবুকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে।
জানতে চাইলে ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিন জানান, জায়গা-জমি নিয়ে দুই প্রতিপক্ষের মধ্যে ঝামেলা চলছিল। আজ সকালে তাদের মধ্যে মারামারি হয়। মারামারিতে এক পক্ষের বাবু নামের একজন আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বলে জানতে পারি। সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাই।