কখন দাঁত প্রতিস্থাপন করবেন?
দাঁত ও মুখের যত্নের ব্যাপারে আমাদের সব সময় সচেতন থাকা উচিত। ঠিকমতো দাঁতের যত্ন না নিলে যে কেউ বিভিন্ন রকম সমস্যায় পড়তে পারে। আজ আমরা জানব, কখন দাঁত প্রতিস্থাপন করতে হবে।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন ডা. শারমীন জামান। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন ডা. মুনা তাহসিন।
দাঁত প্রতিস্থাপন বলতে কী বোঝায়, কখন এটি করার প্রয়োজনীয়তা আসে, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. শারমীন জামান বলেন, দাঁত প্রতিস্থাপন, প্রতিস্থাপন কেনই বা করতে হবে, তাই না? কেননা আমাদের তো মুখে ৩২টা দাঁত আছে; ৩২টা দাঁত অ্যাকচুয়ালি থাকে না, প্রথমে থাকে ২৮টি, পরে আমাদের আক্কেল দাঁতসহ মূলত ৩২টি। কিন্তু সবার মুখে এটাও থাকে না। দেখা যায়, কারও ৩০টি থাকছে, ৩১টি থাকছে—এটা ডিপেন্ড করে।
ডা. শারমীন জামান বলেন, কোনো কারণে দাঁত যদি না রাখতে পারেন, সেটা হতে পারে কারও যদি ক্যাভিটি হয়ে যায়, সেটাকে কেউ যদি কোনোভাবে নেগলেক্ট করে থাকেন। একটা সময় গিয়ে সেই দাঁতটাকে ফেলে দিতে হতে পারে। সেই দাঁতের গোড়ায় যদি ইনফেকশন হয়ে যায়। অথবা কোনো কারণে বিপদ হলো, অ্যাকসিডেন্ট হলো, দাঁতটা ভেঙে গেল বা দাঁতটা পড়ে গেল।
অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, ডায়াবেটিক পেশেন্ট, হাইপারটেনশনের পেশেন্ট, যাঁদের অনেক বেশি সুগার লেভেল থাকছে, তাঁদের প্রোটিনের মাত্রা বেশি থাকার কারণে লিগামেন্টগুলো নষ্ট হয়ে যায় এবং একসময় দাঁতটা নড়ে যায়। নড়ে গেলে তো দাঁতটা পড়ে গেল। সে ক্ষেত্রে দাঁতটা প্রতিস্থাপন করতে হয়। প্রতিস্থাপন মানে যদি একটা দাঁত বা তিনটা দাঁত; একসাথে অনেকগুলো দাঁত যদি পড়েই যায়, তখন আমাকে খাওয়াদাওয়া করার জন্য বা কথা বলার জন্য অথবা মুখের সৌন্দর্যকে ধরে রাখার জন্য দাঁত প্রতিস্থাপন করার প্রয়োজন পড়ে।