সোরিয়াসিসের লক্ষণ ও এ থেকে মুক্তির উপায়
সোরিয়াসিস খুবই কমন একটি রোগ। এ নিয়ে মানুষের মনে বিভিন্ন প্রশ্ন রয়েছে। এই কোভিড-পরিস্থিতিতে মানুষের মনে আরও প্রশ্ন ও শঙ্কা দানা বেঁধেছে। আজ আমরা সোরিয়াসিস সম্পর্কে জানব একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন অধ্যাপক ডা. রাশেদ মোহাম্মদ খান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডা. শারমিন জাহান নিটোল।
সোরিয়াসিস কী?
অধ্যাপক ডা. রাশেদ মোহাম্মদ খান বলেন, সোরিয়াসিস খুবই কমন একটি রোগ। কনুইয়ে, হাঁটুতে, মাথার পেছনে চামড়া মোটা হয়ে যায়, লাল হয়ে যায় এবং মাছের আঁশের মতো চামড়া উঠতে থাকে। এগুলো সাধারণ লক্ষণ। কিছু কিছু পরীক্ষা আছে। যেমন আঁশটা যখন আমরা টান দিয়ে সরিয়ে ফেলি, তখন ব্লিডিং স্পট বা ছোট ছোট রক্তের ফোঁটা দেখা যায়। এগুলো দেখেও আমরা সোরিয়াসিস ডায়াগনসিস করি।
সোরিয়াসিস কেন হয়?
অধ্যাপক ডা. রাশেদ মোহাম্মদ খান বলেন, আমরা তিনটি ভাগে এটাকে ভাগ করি। বংশগত প্রভাব আছে বা জেনেটিক, আরেকটা হচ্ছে পরিবেশগত প্রভাব এবং এর সঙ্গে ইমিউন সিস্টেম, যাকে আমরা হাইপার অ্যাকটিভ ইমিউন সিস্টেম বলি। ইমিউন সিস্টেমটা হাইপার অ্যাকটিভ ইমিউন হয়ে যায়। আমরা যদি জেনেটিকসের কথা বলি, জেনেটিকসের মধ্যে পলিজেনিক, মানে অনেকগুলো জিন মিলে একটা টেন্ডেন্সি তৈরি হয়। তার পরে আমরা যখন ট্রিটমেন্টের দিকে যাব, এই তিনটা আর্মকে ব্লক করার চেষ্টা করব।
অধ্যাপক ডা. রাশেদ মোহাম্মদ খান আরও বলেন, জেনেটিকস অ্যাসপেক্টের কথা যদি বলি, যেমন ধরা যাক আপনি মোটা হয়ে যাচ্ছেন। আপনার প্রতিটি সেলের মধ্যে জিন আছে। আপনি যত মোটা হবেন, সেল তত বাড়বে। জেনেটিক লোড বেড়ে যাবে। আপনি যত মোটা হবেন, সোরিয়াসিস বাড়বে। যদি একে ব্লক করতে চাই, তাহলে আপনাকে চিকন থাকতে হবে, লাইফস্টাইল পরিবর্তন করতে হবে। এনভায়রনমেন্টাল ফ্যাক্টর অনেক আছে। তার মধ্যে যেকোনো ট্রমা। আপনি পড়ে গেলেন, ছিলে গেল। আপনি নামাজ পড়ছেন ফ্লোরের মধ্যে, হাঁটু ছিলে গেল, এখানে সোরিয়াসিস হতে পারে। ট্রমা থেকে সোরিয়াসিস বেড়ে যেতে পারে। আপনি যদি সিগারেট খান, অ্যালকোহল, স্ট্রেস... স্ট্রেস ম্যানেজ করতে হবে; মেডিটেশনে যেতে হবে।
সোরিয়াসিস কী, কেন হয় এবং এ থেকে মুক্তির উপায় জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওতে ক্লিক করুন।