বিএনপি ভোটে এলে ভালো, না এলে কিছু করার নেই : সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে ভালো হতো। কেন করেনি তাতো আমি বলতে পারব না। নির্বাচন কমিশনের কাজ হলো ম্যানেজমেন্ট করা। এখানে প্রার্থী কারা দেবে, কোন কোন রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করবে, এটা তাদের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। এতে আমরা কিছু করতে পারি না।’
আজ বুধবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি এসব কথা বলেন। জাতীয় সংসদের লক্ষ্মীপুর-২ আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২১ জুন। আসনটি বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে সুপরিচিত। বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এই আসন থেকে দুবার নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছিলেন।
কিন্তু এবার চারটি উপনির্বাচন বর্জন করেছে বিএনপি। ফলে লক্ষ্মীপুরের এই ঘাঁটিতেও বিএনপির কোনো প্রার্থী নেই। সবশেষ এই আসনে সংসদ সদস্য ছিলেন কুয়েতে মানবপাচারের দায়ে দণ্ডিত মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম পাপুল। দণ্ডিত হওয়ার পর স্বতন্ত্র এই সংসদ সদস্যের আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়। পরে সেখানে উপনির্বাচনের তফসিল দেয় ইসি।
আজকের সংবাদ সম্মেলনে সিইসি জানান, তিনি লক্ষ্মীপুরে উপনির্বাচন তদারকির জন্য নয়, বরং করোনাকালীন ও বৈরি আবহাওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে যে কর্মকর্তারা কাজ করে যাচ্ছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানানোর জন্য এই সফর করছেন।
এ সময় নির্বাচন কমিশনের প্রধান বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা চরম অবস্থায় আছে। যদি সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো পরিবেশ না থাকে, প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে নির্দেশ রয়েছে, নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া হবে। কোনো ত্রুটিযুক্ত নির্বাচনে আমরা যাব না। যদি কোনো ত্রুটি থাকে তাহলে নির্বাচন কর্মকর্তার নির্দেশে ইউনিয়ন ও পৌরসভা নির্বাচন বন্ধ হয়ে যাবে। কোনো দুর্বৃত্তকে নির্বাচন বানচাল ও বিতর্কিত করতে দেওয়া হবে না।’
সিইসি আরও বলেন, ‘বুথের মধ্যে অন্য লোক গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে, এটা তো সম্ভব না। এগুলো কখনো অ্যালাউ করা হয় না। ইভিএমে ভোটের ক্ষেত্রে প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসারদের ওপর আস্থা রাখতে হবে। তাদের ওপর অনাস্থা রাখলে চলবে না। তাদেরকে বিশ্বাস করতে হবে। একজনের ভোট আরেকজনে দিয়ে দেবে, এটা সম্ভব না।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের আইডিইএ প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল কাশেম মো. ফজলুল কাদের, যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহমেদ খান, জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ, জেলা পুলিশ সুপার ড. এম কামরুজ্জামান, লক্ষ্মীপুর-২ আসনের উপ-নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা দুলাল তালুকদার প্রমুখ।