ঝালকাঠিতে নির্বাচনি সহিংসতায় কলেজছাত্র নিহত
ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলায় নির্বাচন পরবর্তীতে সহিংসতায় এক কলেজছাত্র নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছে অন্তত ১৫ জন। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলার আমুয়া ইউনিয়ন পরিষদের ছোনাউটা গ্রামে দুপক্ষের মধ্যে এই সহিংসতার ঘটনা ঘটে।
নিহত আরিফ হোসেন (২০) উপজেলার ছোনাউটা গ্রামের শিক্ষক শাহ আলম আকনের (লাল মিয়া) ছেলে। তিনি বাগেরেহাট সরকারি পিসি কলেজের স্নাতক (সম্মান) তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
কাঁঠালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পুলক চন্দ্র রায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সংঘর্ষে কলেজছাত্র নিহতের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ব্যাপারে হত্যামামলার প্রস্তুতি চলছে।
এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, গত সোমবার আমুয়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন হয়। নির্বাচনে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নির্বাচিত হন মজিবর রহমান। গতকাল মঙ্গলবার রাতে বিজয়ী মেম্বারের সমর্থকরা স্থানীয় ছোনাউটা কেরাত আলী দাখিল মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকায় পিকনিকের আয়োজন করে।
একই ওয়ার্ডের পরাজিত মেম্বার প্রার্থী ফারুক মিয়ার কর্মী আলী হোসেন তখন রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। বিজয়ী মেম্বারের সমর্থকরা তাকে আটকে বেঁধে রাখে। খবর পেয়ে ফারুক মিয়ার লোকজন আটক হোসেনকে ছাড়াতে এলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়।
আহত আরিফ হোসেন (২০), আবদুল মালেক (৬০), আলিম শিকদার (৬০), শরিফুল ইসলাম (২৬), ইব্রাহিম আকন (২৫), শাহ আলম আকন (৬০), শাহনাজ পারভীন (৫০) ও সেহরাফ হোসেন আকনকে ( ৫৫) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
রাতে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলেজছাত্র আরিফ হোসেনকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে ৩টার দিকে আরিফের মৃত্যু হয়।
এদিকে নির্বাচন পরবর্তীতে সহিংসতায় গতকাল রাতে নলছিটি উপজেলার রানাপাশা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে বিজয়ী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের হামলায় পরাজিত প্রার্থীর আট কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছে। আহতদের বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।