‘জনগণ আমাদের ওপর পুরোপুরি সন্তুষ্ট না হলেও অসন্তুষ্ট নয়’
নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘জনগণ আমাদের কর্মকাণ্ডে পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে না পারলেও অসন্তুষ্ট নয়। এ অর্জন সবার কর্মকাণ্ডের ফল। এ অর্জন ধরে রাখতে হবে।’
প্রতিমন্ত্রী আজ রোববার নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এর অধীন ১১টি দপ্তর ও সংস্থার ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিপত্র (এপিএ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সরাসরি এবং অনলাইনে এসব চুক্তিপত্র স্বাক্ষর হয়। নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী মন্ত্রণালয়ের পক্ষে এবং দপ্তর ও সংস্থার প্রধানেরা নিজ নিজ পক্ষে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন।
বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক, বিআইডব্লিউটিসি’র চেয়ারম্যান সৈয়দ এম তাজুল ইসলাম, নৌপরিবহণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর আবু জাফর মো. জালালউদ্দিন, বাস্থবক-এর চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেন, চবক’র চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান, মোবক’র চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা, পাবক’র চেয়ারম্যান কমডোর হুমায়ুন কল্লোল, বিএসসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর সাব্বির মাহমুদ, মেরিন একাডেমির কমান্ডেন্ট সাজিদ হোসেন, এনএমআই’র অধ্যক্ষ ক্যাপ্টেন ফয়সাল এবং নাবিক ও প্রবাসী শ্রমিক কল্যাণ পরিদপ্তর-এর পরিচালক মো. জসিমউদ্দিন এপিএ-তে স্বাক্ষর করেন।
বিশ্বমানের বন্দর, মেরিটাইম ও নৌপরিবহণ ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা, সমুদ্র, নৌ ও স্থল বন্দরগুলোর আধুনিকায়ন, নৌপথের নাব্য সংরক্ষণ, মেরিটাইম খাতে দক্ষ জনবল সৃষ্টি, নিরাপদ যাত্রী ও পণ্য পরিবহণ এবং বৈদেশিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে সহায়তাকরণের লক্ষ্যে নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয় কাজ করছে।
নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের বিগত বছরের এপিএ অর্জন
২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৮৫ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৮২ দশমিক ১৫ শতাংশ, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৮০ দশমিক ৬৩ শতাংশ, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৮১ দশমিক ২১ শতাংশ এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৭২ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ।
এ ছাড়া নির্বাচনি ইশতেহার-২০১৮; প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-৪১; অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ২০২১-২০২৫; রূপকল্প-২০৪১; বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা (ডেল্টা প্লান)-২১০০; টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি)-২০৩০; মুজিববর্ষ উপলক্ষে জনহিতকর কার্যক্রম; মন্ত্রিসভায় গৃহিত সিদ্ধান্ত এবং প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ও প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন; ব্যবসা সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি বা ইজ অব ডুয়িং বিজনেস-এর নির্দেশকগুলো (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে); চতুর্থ শিল্প বিপ্লব সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) এবং সরকারি কর্মচারীদের সক্ষমতার উন্নয়ন সংক্রান্ত কার্যক্রম (সমসাময়িক বিষয় নিয়ে বিশেষ লার্নিং সেশন আয়োজন) বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে এপিএ প্রণয়ন করা হয়েছে। অর্থবছরের বাজেটের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এপিএ’র লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে উন্নীত করতে একটি কার্যকর, দক্ষ ও গতিশীল প্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকরণ এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা উন্নয়নের জন্য সরকারি দপ্তর ও সংস্থাগুলোর কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি প্রবর্তনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৪৮টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি চালু হয়। এরই মধ্যে ৫১টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এবং এগুলোর আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থা এবং মাঠ পর্যায়ের বিভাগীয়, আঞ্চলিক, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কার্যালয়ের সঙ্গে এপিএ সম্পাদিত হয়েছে।
ঢাকায় অবস্থিত বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ), বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি), নৌপরিবহণ অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ’র (বাস্থবক) প্রধানেরা সরাসরি এবং ঢাকার বাইরে অবস্থিত চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (চবক), মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ (মোবক), পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ (পাবক), বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন (বিএসসি), বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি, ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউট (এনএমআই) এবং নাবিক ও প্রবাসী শ্রমিক কল্যাণ পরিদপ্তর-এর প্রধানেরা জুম অ্যাপের মাধ্যমে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ নেন।