ভ্রাম্যমাণ আদালতের সামনে মৃত্যুর কোলে বীর মুক্তিযোদ্ধা
গাজীপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সামনেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন এক বীর মুক্তিযোদ্ধা। মহানগরীর গাছা থানাধীন উত্তর খাইলকৈর বটতলা এলাকায় গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। এরই মধ্যে ঘটনাটি তদন্তের জন্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
বীর মুক্তিযোদ্ধা কফিল উদ্দিন (৭৬) গাছা থানাধীন উত্তর খাইলকৈর বটতলা এলাকার বাসিন্দা।
জানা গেছে, উত্তর খাইলকৈর বটতলা এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা কফিল উদ্দিনের ছেলে মতিউর রহমানের মালিকানাধীন সাজিম সোয়েটার কারখানার শ্রমিকেরা স্বাস্থ্যবিধি না মেনে এবং মাস্ক পরিধান না করে কাজ করছিলেন। এ খবর পেয়ে গত শনিবার সকাল ১০টার দিকে গাজীপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাব্বির আহমেদের নেতৃত্বে একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত ওই কারখানায় গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পান। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে কারখানা পরিচালনা করায় আদালত কারখানাটি বন্ধ করে দেন।
পরে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ম্যাজিস্ট্রেট দেখতে পান, অনুমতি না নিয়ে আবারও কারখানাটি চালু করেছেন মালিক। এ বিষয়ে কারখানার মালিকের সঙ্গে কথা বলছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাব্বির আহমেদ। কারখানায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতির কথা শুনে কারাখানা মালিকের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা কফিল উদ্দিন ঘটনাস্থলে যান। সেখানে ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে কথা বলার সময় তাঁর সামনেই কফিল উদ্দিন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। স্বজনেরা তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় তায়েরুন্নেছা মেমোরিয়াল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক কফিল উদ্দিনকে মৃত ঘোষণা করেন।
কফিল উদ্দিনের ছেলে ও কারখানার মালিক মতিউর রহমান জানান, ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে কথা বলার সময় তাঁর বাবার হার্ট অ্যাটাক হলে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম এ ব্যাপারে জানান, এটি একটি দুঃখজনক ঘটনা। তবে ঘটনাটি তদন্তের জন্য গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আবুল কালামকে গতকাল সোমবার পত্রের মাধ্যমে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য তাঁকে বলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলেই প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।