মেঘনার নিষিদ্ধ জোনেও চলছে যাত্রী পারাপার, ট্রলারসহ দুজন আটক
ভোলায় লকডাউনের মধ্যেও স্বাস্থ্যবিধি না মেনে উত্তাল মেঘনায় চলাচল করছে যাত্রীবাহী ট্রলার। স্থানীয়দের অভিযোগ, ‘নিষিদ্ধ জোন’ থেকে এসব ট্রলার চলছে সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করেই। এমন অভিযোগ পেয়ে আজ মঙ্গলবার পুলিশ ইলিশা মাছ ঘাটে অভিযান চালায়। এ সময় একটি ট্রলারসহ দুইজনকে আটক করা হয়েছে।
লকডাউনের সারা দেশে গণপরিবহণ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। করোনার কারণে মেঘনাকেও ‘ডেঞ্জার জোন’ ঘোষণা করেছে সরকার। কিন্তু সেই মেঘনায় করোনাকে কেন্দ্র করে ব্যবসা জমিয়েছে কতিপয় ব্যবসায়ী।
সব ধরনের পরিবহণ বন্ধ থাকায় উত্তাল মেঘনায় যাত্রী নিয়ে পারাপার করছে ছোট ছোট ট্রলার। এসব ট্রলারগুলো ভোলার ইলিশা থেকে যাত্রী নিয়ে লক্ষ্মীপুর মজুচৌধুরী ঘাট যাচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ফেরি ও সি-ট্রাক চলাচল না করায় একটি শ্রেণিকে ম্যানেজ করেই এসব ট্রলার চলছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সাংবাদিক দেখেই যাত্রী নিয়ে দ্রুত পালিয়ে অপর একটি মাছঘাটে গিয়ে পুনরায় যাত্রী নিয়ে ছেড়ে যাচ্ছে এসব ট্রলার।
এ বিষয়ে জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) সরকার মো. কায়সারকে জানালে তিনি দ্রুত বিষয়টি দেখার জন্য ইলিশা পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের উপপরিদর্শক মো. আনিছুর রহমানকে বলেন। তিনি দ্রুত ইলিশা মাছ ঘাটে পুলিশ পাঠান। নির্দেশনা অনুযায়ী সহকারি উপপরিদর্শক মাইনুল ইসলাম ট্রলারের দুইজনকে আটক করে।
এ বিষয়ে ইলিশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক মো. আনিছুর রহমান বলেন, ‘কোনো ধরনের অন্যায় করতে দেওয়া হবে না। যারা এসব ট্রলার থেকে টাকা নিয়ে চলাচলে সহযোগিতা করছে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। যাত্রী নিয়ে লক্ষ্মীপুর যাওয়ার সময় একটি ট্রলারসহ দুইজনকে আটক করা হয়েছে। পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশের তিনটি দল মাঠে কাজ করছে।’
অপরদিকে, দেখা গেছে জেলায় লঞ্চ ও বাস বন্ধ রয়েছে। তবে মাহেন্দ্র, মাইক্রোবাস, অ্যাম্বুলেন্স ও সিএনজিতে করে চলাচল করছে সাধারণ মানুষ। মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধিও। শুধু শহরেই অভিযান চলায় শহরতলীগুলোতে মার্কেটসহ সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকে।
পুলিশ সুপার সরকার মো. কায়সার বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনার বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। করোনা প্রতিরোধে পুলিশ সর্বদা প্রস্তুত আছে। মেঘনায় আর কোনো ট্রলার চলতে দেওয়া হবে না।’
ভোলা জেলা প্রশাসক মো. তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী বলেন, ‘প্রতিদিন বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালাচ্ছে এবং জরিমানা করছে। শহরে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। আশা করছি সব নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।’