শেরপুরের দুই উপজেলার পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত কয়েকটি এলাকা
গত তিনদিনের ভারি বর্ষণে শেরপুরের ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়েছে। গতকাল বুধবার থেকে আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ঝিনাইগাতী মহারশী এবং নালিতাবাড়ীর ভোগাই ও চেল্লাখালি নদীর পানিবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
গতকাল বুধবার পাহাড়ি ঢলে ঝিনাইগাতী উপজেলা শহরেও পানি উঠেছিল। কিন্তু বিকেলের মধ্যে পানি নেমে যায়। তবে নিম্নাঞ্চল আজও প্লাবিত। উপজেলার রামের কুড়া, দিঘিরপাড়, খৈলকুড়া, পাগলার মুখ, সারিহারা, সারিকালি নগর, বনগাঁও, চতলসহ আরও কয়েকটি এলাকার নিম্নাঞ্চল এখনো প্লাবিত এসব এলাকায় বসবাসরত মানুষগুলো পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
এদিকে, নালিতাবাড়ী উপজেলার চেল্লখালি ও ভোগাই নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্লাবিত হয়েছে নদীসংলগ্ন এলাকা হাতিপাগাড়, নিজপাড়া, গড়কান্দা, গোবিন্দনগর এবং চেল্লাখালি নদীর তীরবর্তী এলাকা বালুঘাটা, সন্ন্যাসীভিটা প্রভৃতি এলাকা।
দুই উপজেলার বেশ কিছু পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কাঁচা ঘরবাড়ি। প্লাবিত এলাকাগুলোর পরিবারগুলো পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে।
দুই উপজেলারই প্রশাসন জানিয়েছে, ঢলের পানি দ্রুত নেমে যায়। পানি নেমে গেলে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ সম্ভব হবে। তবে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।