খুলনায় করোনা ও উপসর্গে ২৪ ঘণ্টায় ১৫ জনের মৃত্যু
খুলনার তিনটি হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ১৪ জনের করোনা শনাক্ত করা হয়েছিল। অপর একজন করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন।
এদিকে, গত বুধবার থেকে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) এবং গতকাল শনিবার থেকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) পিসিআর মেশিনে নমুনা পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। প্রায় তিন হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
খুমেক হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) এবং করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের মুখপাত্র ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানিয়েছেন, হাসপাতালটিতে মোট ১৯৭ জন করোনা রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। এর মধ্যে রেড জোনে ১০২ জন এবং ইয়েলো জোনে ৫৫ জন রয়েছে। এ ছাড়া নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ২০ জন এবং হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) ২০ জন চিকিৎসাধীন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় রেড জোনের করোনা পজিটিভ ছয় রোগী এবং ইয়েলো জোনের করোনার উপসর্গে চিকিৎসাধীন এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন খুলনার শেখ কামাল (৬৮), আনোয়ারা (৬২), সরদার হায়দার আলী (৫৫), বেগম (৫০), বাগেরহাটের ইরিয়াস ফকির (৬০) ও জাহাঙ্গীর (৫২)।
অন্যদিকে, বেসরকারি গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. গাজী মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, হাসপাতালটির করোনা ইউনিটে মোট রোগীর সংখ্যা ১১৫ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ছয়জন করোনা পজিটিভ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা হলেন খুলনার জাকির হোসেন (৫০), আফতাব হোসেন (৭২), সালেহা বেগম (৬৭), নড়াইলের হালিমা বেগম (৫৫), মিন্টু বিশ্বাস (৮১) ও বাগেরহাটের কাজী আহাদ (২৬)।
খুলনার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মুখপাত্র ডা. কাজী রাশেদুল জানিয়েছেন, হাসপাতালটিতে মোট ৬৫ জন করোনা রোগী চিকিৎসাধীন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা হলেন খুলনার জহুরুল হক (৬৫) ও জাহানারা বেগম (৬০)।
এদিকে খুমেকের ভাইস প্রিন্সিপাল ডা. মেহেদী নেওয়াজ জানিয়েছেন, খুমেকের পিসিআর ল্যাব দূষিত হয়ে যাওয়ার কারণে গত বুধবার থেকে নমুনা পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। দুদিনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিসিআর মেশিনে ৯১টি নমুনা পরীক্ষা হলেও গতকাল শনিবার যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সেখানেও কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। এরই মধ্যে প্রায় তিন হাজার নমুনা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।