বরিশাল বিভাগে করোনায় ও উপসর্গে আরও ১৭ মৃত্যু
বরিশাল বিভাগে প্রতিনিয়ত বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর পর বরিশাল বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বাধিক ৪৩৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে বরিশাল বিভাগে করোনা শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১৯ হাজার ৭৩ জনে।
এ ছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে ও উপসর্গ নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় এই বিভাগে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে ১১ জনের এবং আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া বরিশাল, পিরোজপুর ও ঝালকাঠি জেলায় আরও দুজন করে মোট ছয় জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এর ফলে বরিশাল বিভাগে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৩২১ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক জানান, বরিশাল বিভাগে মোট করোনা শনাক্ত হওয়া ১৯ হাজার ৭৩ জনের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ১৫ হাজার ২৬৫ জন। এ ছাড়া বরিশাল জেলায় সর্বোচ্চ শনাক্ত ১৫৭ জন নিয়ে মোট আট হাজার ৩৫২ জন, পটুয়াখালী জেলায় নতুন ৪৩ জন নিয়ে মোট দুই হাজার ৫৮৩ জন, ভোলা জেলায় নতুন ১৬ জনসহ মোট দুই হাজার ১০৩ জন, পিরোজপুর জেলায় নতুন ৮৩ জন নিয়ে মোট দুই হাজার ৪৯৯ জন, বরগুনা জেলায় নতুন ৩৭ জন নিয়ে মোট আক্রান্ত এক হাজার ৫২৯ জন এবং ঝালকাঠি জেলায় নতুন ১০০ জনসহ মোট শনাক্ত হয়েছে দুই হাজার সাত জন।
এদিকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় শুধু বরিশাল মেডিকেলের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে ১১ জনের এবং করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে শুধু বরিশাল মেডিকেলেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২১৬ জন এবং আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে ৫৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ৫৫৪ জনের মধ্যে ২২ জনের করোনা টেস্টের রিপোর্ট এখনও হাতে পাওয়া যায়নি।
হাসপাতাল পরিচালকের তথ্য সংরক্ষক জাকারিয়া খান স্বপন জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল মেডিকেলের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৪৪ জন এবং করোনা ওয়ার্ডে পাঁচ জন ভর্তি হয়েছে। করোনা ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে এখন ২২০ জন রোগী চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে ৪৭ জনের করোনা পজিটিভ এবং ১৭৩ জন আইসোলেশনে রয়েছেন। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল মেডিকেলে আরটি পিসিআর ল্যাবে মোট ১৮৮ জন করোনা পরীক্ষা করান। এর মধ্যে করোনা শনাক্তের হার ৫৯ দশমিক ৫৭ শতাংশ।