গফরগাঁওয়ে যুবলীগনেতাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় একজন আটক
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের শিবগঞ্জ বাজারে প্রকাশ্যে মতিউর রহমান মোহন (৩২) নামের এক যুবলীগনেতাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে এখনো হত্যার কোনো ক্লু বের করতে পারেনি পুলিশ।
নিহত মোহন উপজেলার পাঁচুয়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে। তিনি রাওনা ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক নেতা এবং ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী ছিলেন।
গতকাল রোববার সন্ধ্যায় এ হত্যার ঘটনা ঘটে। আজ সোমবার সকালে গফরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অনুকূল সরকার জানান, এ ঘটনায় এখনো কেউ মামলা করেনি। মামলা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গতকাল রোববার বিকেল ৫টার দিকে রাওনা ইউনিয়নের দীঘা গ্রামে শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার উদ্দেশে মতিউর রহমান মোহন বাড়ি থেকে বের হন। ধোপাঘাট এলাকায় তার চাচাতো ভাই গ্রামপুলিশ কাঞ্চন মিয়াকে (৩০) সঙ্গে নিয়ে শিবগঞ্জ বাজারে যান। বাজার থেকে তার চার বছরের একমাত্র মেয়ে মোহনার জন্য জামাকাপড় কিনেন। সন্ধ্যা ৬টার দিকে শিবগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডের যাত্রী ছাউনির সামনে থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে যাত্রা করার সময় অজ্ঞাত পরিচয় দুই দুর্বৃত্ত (একজন কালো মুখোশ পরা) মোহনের পথ আটকায় এবং ধারালো রামদা দিয়ে কোপাতে থাকে। মোহনকে মোটরসাইকেল থেকে টেনে-হেঁচড়ে নামিয়ে হাত-পা, মাথা ও পেটে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে চলে যায় তারা। দুর্বৃত্তরা গ্রামপুলিশ কাঞ্চন মিয়াকে হত্যার হুমকি দিয়ে লাথি মেরে সরিয়ে দেন।
খবর পেয়ে গফরগাঁও থানার ওসি অনুকূল সরকার ঘটনাস্থলে পৌঁছে মোহনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রকাশ্যে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
মোহনের বাবা আব্দুস ছাত্তার (৬০) স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, তাঁর ছেলের কোনো শক্র নেই। তার একমাত্র ছেলেকে কারা এবং কেন হত্যা করল, এ প্রশ্ন তারও। তিনি তার ছেলের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন।