বিধিনিষেধের ষষ্ঠ দিনে রাস্তায় বেড়েছে মানুষ, বেড়েছে গাড়ির জটলা
সরকারঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধের ষষ্ঠ দিন চলছে আজ মঙ্গলবার। পঞ্চম দিন পরে এসে বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে আজ রাস্তায় বেড়েছে মানুষ, বেড়েছে ব্যক্তিগত যানবাহন। ফলে সকালের দিকে কোথাও কোথাও যানজটের দেখাও মিলে।
রাজধানীর কারওয়ান বাজার, তেজগাঁও, মতিঝিল, উত্তরা ও গুলশানসহ কয়েকটি স্থানের ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
এ ছাড়া কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অন্যান্য দিনের চেয়ে আজ রাজধানীর মূল রাস্তায় মানুষ বেশি চলাচল করেছে। অলি-গলিতেও অতিরিক্ত মানুষ বেড়েছে। যদিও আগে থেকে অলি-গলিতে মানুষ বেশি ছিল। মূল সড়কে মানুষ কম দেখা গেলেও বিধিনিষেধের অধিকাংশ দিনই ভেতরের সড়কে মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
তবে সরকারের দেওয়া বিধিনিষেধ প্রতিপালনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সড়কে তৎপর রয়েছে। ট্রাফিকের তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) শেখ মোহাম্মদ শামীম বলেন, অন্যদিনের তুলনায় মানুষ আজ একটু বেশিই। সকালের দিকে মানুষ একটু বেশি ছিল। সে জন্য সড়কে জটলাও ছিল খানিকটা। আজ পথে রিকশাও বেশি ছিল। বেশি ছিল ব্যক্তিগত গাড়িও।
একই কথা বলেছেন ট্রাফিকের মতিঝিল জোনের সহকারী কমিশনার এস এম বজলুর রশিদ। তিনি বলেন, মতিঝিল এলাকায় অনেক ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান খোলা। ফলে সকালে প্রচুর মানুষ এদিকে এসেছে। যাতে করে গাড়ির চাপ ছিল একটু বেশি। তারপরও আমরা মানুষকে রাস্তায় আসার কারণ জিজ্ঞেস করছি। অযাচিত মনে হলে ব্যক্তি ও গাড়ির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
রাজধানীর গুলশান থেকে প্রয়োজনে কারওয়ান বাজার এসেছেন শাহীন হোসেন। তিনি বলেন, ‘আজ প্রচুর মানুষজন বাইরে। তবে আজ মানুষ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রিকশা চালকদের চাহিদা বেড়েছে। গুলশান থেকে ২৫০ টাকা দিয়ে কারওয়ান বাজার এসেছি। অথচ, হাতিরঝিলের ভেতর দিয়ে এসেছি আজ। সময় লাগেনি বেশি।
এদিকে ট্রাফিক পুলিশের বিমানবন্দর জোনের সহকারী কমিশনার মো. আব্দুল্লাহ বলেন, সকালের দিকে একটু বেশি মানুষ ছিল রাস্তায়। চেকপোস্টের কারণে গাড়ির জটলাও ছিল বেশ। তবে এখন আর গাড়ির জটলা নেই। অন্যান্য দিনের চেয়ে আজ মানুষ বেশি বাইরে বের হয়েছে। সেটাই দেখছি সারাদিন ধরে।