জলবায়ু পরিবর্তনে দায়ী ধনীরা, আমরা শিকার : অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য ধনী দেশগুলো দায়ী। অথচ জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় আমাদেরকে বছরে দুই বিলিয়ন ডলার খরচ করতে হচ্ছে। ধনী দেশগুলো এর দায় নিচ্ছে না। উন্নত দেশগুলোর সহায়তা ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা মোকাবিলা করা সম্ভব না।’
আজ বুধবার ‘ফার্স্ট ক্লাইমেট ভালনারেবল ফাইন্যান্স সামিট’-এ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বন ও পরিবেশমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ। সামিট পরিচালনা করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য কারা দায়ী এটা সবাই জানে। মূলত ধনী দেশগুলো দায়ী। তাদের জনসংখ্যা মাত্র পাঁচ শতাংশ। অথচ পাঁচ শতাংশ জনসংখ্যা নিয়ে এরা ২২ শতাংশ কার্বন-ডাই-অক্সাইড উৎপাদন করছে। অন্যদিকে আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার হচ্ছি। জলবায়ু পরিবর্তনজনিক দুর্যোগ মানুষের সৃষ্টি। আমরা এর জন্য দায়ী না।
জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ফসিল ফুয়েল ব্যবহার করার কারণে বিশ্ব উত্তপ্ত হচ্ছে। অ্যান্টার্টিকা মহাদেশের বিশাল বরফখণ্ড গলতে শুরু করেছে। এতে করে ভবিষ্যতে আমাদের দেশের নিচু অংশ ডুবে যাবে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি— এই বিষয়ে জনমত সৃষ্টি হচ্ছে। ২০০৩ সালে ইউরোপে ৭০ হাজার মানুষ মারা গেছে শুধু জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যার কারণে।
বিকল্প জ্বালানির বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, সোলার এনার্জি উৎপাদন করলে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করা সম্ভব। এজন্য বিপুল জমির প্রয়োজন। আমাদের জমির পরিমাণ কম। খাদ্যচাহিদা মেটাতে কৃষিজমির সর্বোত্তম ব্যবহার করছি।