ময়মনসিংহ মেডিকেলের করোনা ইউনিটে আরও ১৪ জনের মৃত্যু
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আরও ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার সকালে হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ময়মনসিংহ জেলা ও জেলার বাইরের ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে এক দিনে মৃত এই ১৪ জনের তিন জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে এবং ১১ জন করোনার উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
মমেক হাসপাতালের মেডিসিন ইউনিটের কনসালটেন্ট ও করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. মো. মহিউদ্দিন খান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ বিভাগের যে তিন জন মারা গেছেন তাঁরা হলেন ময়মনসিংহ সদরের দীপক ভৌমিক (৭২), নেত্রকোনা সদরের শাহিদা (৫০) ও জামালপুর নান্দিনার আব্দুল করিম (৫০)।
এ ছাড়া করোনার উপসর্গ নিয়ে ময়মনসিংহ বিভাগের মৃতরা হলেন ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের শাহেদুজ্জামান (৮০), ফুলপুরের আব্দুল মাজেদ (৬৫), ঈশ্বরগঞ্জের আব্দুল গফুর (৭০), ফুলবাড়িয়ার সুফিয়া খাতুন (৬৫); শেরপুর সদরের নুরুল ইসলাম (৫২) ও হোসনে আরা (৭০) এবং জামালপুরের ইদ্রিস আলী (৬৫) ও খায়রুল ইসলাম (৫৫)। এ ছাড়া বিভাগের বাইরে গাজীপুর সদরের মফিজ উদ্দিন (৫৫), টাঙ্গাইলের ধনবাড়ির আলমগীর (৪২) ও মধুপরের আব্দুর রহিম (৬০)।
ডা. মো. মহিউদ্দিন খান আরও জানান, বর্তমানে করোনা ইউনিটে মোট রোগী ভর্তি আছেন ৪২৯ জন। এদের মধ্যে আইসিইউতে রয়েছেন ২২ জন।
এদিকে, ময়মনসিংহ জেলায় সর্বোচ্চ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে শনিবার। গত ২৪ ঘণ্টায় শনিবারের রিপোর্ট অনুযায়ী নতুন করে ২৯২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে এবং করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান একজন। এ নিয়ে জেলায় করোনা শনাক্ত হওয়ার পর মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ১০০ জনে দাঁড়ালো।
গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৯৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে র্যপিড এন্টিজেন ও পিসিআর টেস্টে মোট পজেটিভ হয়েছেন ২৯২ জন। র্যাপিড এন্টিজেন টেস্টে ২১০ জন ও পিসিআর টেস্টে ৮২ জন। শনাক্তের হার ২২ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
জেলার সর্বশেষ করোনা পরীক্ষার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ময়মনসিংহ সদরের ১৯৮ জন, নান্দাইলের ১০ জন, ঈশ্বরগঞ্জের সাত জন, গৌরীপুরের ১৮ জন, ফুলপুরের দুজন, তারাকান্দার তিন জন, হালুয়াঘাটের ১৪ জন, ধোবাউড়ার একজন, মুক্তাগাছার চার জন, ফুলবাড়িয়ার এক জন, ত্রিশালের ৯ জন, ভালুকার ১০জন ও গফরগাঁওয়ের ১৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এ পর্যন্ত জেলায় মোট ৯ হাজার ৮৮৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে এবং মারা গেছেন ১০০ জন।