লিটন-সাকিব নৈপুণ্যে বাংলাদেশের দারুণ জয়
জিম্বাবুয়েকে ২৭৭ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ। এই রান তাড়ায় শুরুতেই বিপর্যয়ের কবলে পড়ে জিম্বাবুয়ে। শেষ পর্যন্ত এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে ১২১ রানে গুটিয়ে যায় তাদের ইনিংস। তাই ১৫৫ রানের বড় জয় ঘরে তোলে লাল-সবুজের দল।
ব্যাট হাতে অনেকদিন ধরে সাফল্য না পাওয়া সাকিব আল হাসান এদিন বল হাতে দারুণ উজ্জ্বল ছিলেন। পাঁচ উইকেট তুলে নিয়ে একাই জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং ধস নামান তিনি। একটি করে উইকেট নিয়েছেন তাসকিন, সাইফউদ্দিন ও শফিউল।
জিম্বাবুয়ের পক্ষে একমাত্র সফল চাকাভা। তিনি ৫২ বলে ৫৪ রান করেন। আন্যরা ছিলেন আসা-যাওয়ায়।
এর আগ সকালে টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে খুব একটা সুবিধা করতে পারছিলেন না বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। দলীয় ৭৪ রানে চার উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায়। অবশ্য মাহমুদউল্লাহ ও লিটন দাসের ব্যাটিং দৃঢ়তায় পঞ্চম উইকেট জুটিতে প্রতিরোধ গড়ে। পরে মাহমুদউল্লাহ আউট হলেও দলকে টেনে নেন লিটন দাস।
লিটনের সেঞ্চুরিতেই বড় সংগ্রহ গড়ে বাংলাদেশ। নির্ধারিত ওভারে ২৭৬ রান করে তামিম ইকবালের দল। আর লিটন ১১৪ বলে ১০২ রান করে আউট হন। তাঁর ইনিংসে আটটি চারের মার রয়েছে।
আর সপ্তম উইকট জুটিতে আফিফ হোসেন ও মেহেদী হাসান মিরাজ দারুণ দুটি ইনিংস খেলে দলকে বড় সংগ্রহ গড়ে দিতে অন্যতম অবদান রাখেন। আফিফ ৪৫ রান করেন ৩৫ বলে এবং মিরাজ ২৬ রান করেন ২৫ বল।
এর আগে তামিম ইকবাল (০), সাকিব আল হাসান (১৯), মোহাম্মদ মিঠুন (১৯), মোসাদ্দেক হোসন সৈকত (৫) দ্রুত সাজঘরে ফিরে যান। তবে ব্যতিক্রম ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। তিনি ৫২ বলে ৩৩ রানের একটি ইনিংস খেলে আউট হন।
এর আগে সিরিজের একমাত্র টেস্টে দারুণ সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়েকে বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে মুমিনুল-মুফিকরা।
এই ম্যাচে নেই তারকা পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। তিনি চোটে আক্রান্ত। দেশে ফিরে এসেছেন মুশফিকুর রহিম।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ২৭৬/৯ (তামিম ০, লিটন , সাকিব ১৯, মিঠুন ১৯, মোসাদ্দেক ৫, মাহমুদউল্লাহ ৩৩, আফিফ ৪৫, মিরাজ ২৬, সাইফ ৮*, তাসকিন ১, শরিফুল ০*; মুজরাবানি ১০-২-৪৭-২, চাতারা ১০-১-৪৯-১, এনগারাভা ১০-১-৬১-২, জঙ্গুয়ে ৯-০-৫১-৩, বার্ল ৫-০-৩১-০, মাধেবেরে ৬-০-৩৭-০)।
জিম্বাবুয়ে: ২৮.৫ ওভারে ১২১ (মাধেবেরে ৯, মারুমানি ০, টেইলর ২৪, মায়ার্স ১৮, চাকাভা ৫৪, বার্ল ৬, জঙ্গুয়ে ০, মুজরাবানি ২, চাতারা ২*, এনগারাভা ০, মারুমা আহত অনুপস্থিত; তাসকিন ৫-০-২২-১, সাইফ ৪-০-২৩-১, সাকিব ৯.৫-০-৩০-৫, শরিফুল ৬-০-২৮-১, মিরাজ ৩-০-১৫-০, মোসাদ্দেক ১-০-১-০)।