জয়পুরহাটে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট, বিঘ্নিত স্বাস্থ্যবিধি
আর মাত্র একদিন পরই পবিত্র ঈদুল আজহা। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মারাত্মক ঝুঁকির আশঙ্কা সত্ত্বেও জয়পুরহাটের পাঁচবিবি, কালাই, ক্ষেতলালসহ জমে উঠেছে জেলার সব কোরবানির পশুর হাট।
ঈদ আসন্ন তাই প্রতিটি পশুর হাটে যেমন বেড়েছে কোরবানির গরু-ছাগলের আমদানি, তেমনি বেড়েছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভিড়। ক্রেতা বিক্রেতাদের এ উপচেপড়া ভিড় ও অবহেলার কারণে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রশাসন ও হাট ব্যবস্থাপনা কমিটির নেওয়া সব উদ্যোগ ব্যর্থতায় পর্যবসিত ও উপেক্ষিত হচ্ছে।
ক্রেতা-বিক্রেতার কারো করো মুখে মাস্ক দেখা গেছে। কিন্তু গরমের অজুহাতে বেশিরভাগ মানুষের থুতনিতে দেখা গেছে মাস্ক। আর হাটের কোথাও কাউকে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে দেখা যায়নি।
শেষ মুহূর্তে হাটগুলোতে কোরবানির পশুর ব্যাপক আমদানি হলেও বরাবরের মতো এবারও দাম নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের দেখা গেছে ভিন্ন ভিন্ন মত। তবু সাময়িক লকডাউন স্থগিত পরিস্থিতিতে হাটে কোরবানির পশু কেনাবেচায় খুশি উভয়পক্ষ।
তবে এবার কোরবানির পশু কেনাবেচায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ব্যবস্থাপনায় জয়পুরহাট জেলার পাঁচ উপজেলাসহ জেলা সদরের নামে মোট ছয়টি ফেসবুক পেইজ খোলা হয়। অনলাইনে এ ফেসবুক পেজের মাধ্যমে গত ১ জুলাই থেকে এ পর্যন্ত মোট ৬৪ কোটি দুই লাখ সাত হাজার ৫০০ টাকার গরু-ছাগল কেনাবেচা হয়েছে বলে জানান জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. মাহফুজার রহমান।
চলমান করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে জয়পুরহাটের সবচেয়ে বড়-পাঁচবিবির পশুর হাটের সর্তকতামূলক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা (স্বাস্থবিধি) গ্রহণ করেন পাঁচবিবি পৌরসভার মেয়র হাবিবুর রহমান হাবিব।