ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বিএনপি মহাসচিবের অভিনন্দন
অলিম্পিক লরেল অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হওয়ায় শান্তিতে নোবেল জয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ শনিবার এক অভিনন্দন বার্তায় বিএনপির মহাসচিব বলেন, “বিশ্ব ক্রীড়া জগতের সর্বোচ্চ সম্মান ‘অলিম্পিক লরেল’-এ ভূষিত হওয়ায় বাংলাদেশের জনগণ ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি এবং আমার নিজের পক্ষ থেকে আপনাকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। এই অ্যাওয়ার্ড প্রবর্তনের পর আপনি দ্বিতীয় ব্যক্তি-যিনি তা অর্জন করলেন। শান্তিতে নোবেল জয় করে আপনি যেমন বাংলাদেশকে গৌরবান্বিত করেছেন, তেমনি বিশ্ব ক্রীড়া জগতের সর্বোচ্চ এই সম্মান প্রাপ্তিতে বাংলাদেশের জনগণও আনন্দিত ও গৌরবান্বিত। আপনাকে বিরল এই সম্মানে ভূষিত করার জন্য আমি আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানাই। আমি আপনার সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু ও সাফল্য কামনা করছি।”
গতকাল জাপানের টোকিওতে অনুষ্ঠিত অলিম্পিক গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অর্থনীতিবিদ ও শান্তিতে নোবেল জয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘অলিম্পিক লরেল’ সম্মাননায় ভূষিত করে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি। ক্রীড়ার মাধ্যমে শিক্ষা, সংস্কৃতি, উন্নয়ন ও শান্তিতে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি এই বিশেষ সম্মাননা প্রদান করে থাকে। অধ্যাপক ইউনূস দ্বিতীয় ব্যক্তি যিনি এই পুরস্কার গ্রহণ করেন।
অ্যাথলেটদের প্যারেড শুরুর আগে ভার্চুয়ালি ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘অলিম্পিক লরেল’ সম্মাননা দেওয়া হয়। এরপরই ইউনূস সেন্টারের ফেসবুক পেজ থেকে তাঁর বক্তব্য প্রকাশ করা হয়। যেখানে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘অলিম্পিক লরেল জিতে আমি অভিভূত, এবং সম্মানিত বোধ করছি। একই সঙ্গে আমি দুঃখিত যে, সশরীরে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারিনি।’
এরপর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিশ্বের অ্যাথলেটদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারাই পরিবর্তনশীল বিশ্বের নেতৃত্ব দিতে পারেন। একই সঙ্গে সৃষ্টি করতে পারেন তিনটি জিরো বা শূন্যের। এগুলো হচ্ছে—শূন্য কার্বন নির্গমন, শূন্য দারিদ্র্য এবং শূন্য বেকারত্ব। প্রত্যেকের মধ্যে উদ্যোক্তা হওয়ার শক্তি সৃষ্টি করার মাধ্যমেই এগুলো করা সম্ভব।’
অধ্যাপক ইউনূস তাঁর বার্তায় আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির (আইওসি) সফলতা কামনা করেন। তিনি ক্রীড়ার মাধ্যমে বিশ্বকে আরও শান্তিপূর্ণ স্থান হিসেবে গড়ে তুলতে আইওসির ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি এই প্রতিযোগিতার সবাইকে শুভকামনা জানাচ্ছি। আমাকে এই সম্মাননা দেওয়ায় আবারও ধন্যবাদ।’
ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ক্রীড়ার মাধ্যমে সমাজ উন্নয়নে তাঁর বিপুল কর্মকাণ্ডের জন্য এই ‘অলিম্পিক লরেল’ প্রদান করা হলো যার মধ্যে রয়েছে খেলাধুলার মধ্য দিয়ে সামাজিক সমস্যাগুলোর সমাধানে ‘ইউনূস স্পোর্টস হাব’ নামে একটি বৈশ্বিক সামাজিক ব্যবসা নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা। এ ছাড়াও তিনি আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির বেশ কয়েকটি প্রকল্পে সহায়তা করছেন, যেমন- আইওসি ইয়ং লিডার্স প্রোগ্রাম, ‘ইমাজিন’ পিস ইয়্যুথ ক্যাম্প এবং অ্যাথলেট ৩৬৫ বিজনেস অ্যাকসিলারেটর যা অলিম্পিয়ানদের ক্যারিয়ার উত্তরণে সহায়তা করতে প্রথম ব্যাপকভিত্তিক উদ্যোক্তা কর্মসূচি।