এবার আইভীর মাথায় হাত বুলিয়ে সান্ত্বনা দিলেন শামীম ওসমান
মায়ের মৃত্যুশোকে কাতর নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর বাড়িতে গিয়ে তাঁকে সমবেদনা জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে নগরীর মাসদাইর পৌর কবরস্থানে গিয়ে বিলুপ্ত নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান আলী আহাম্মদ চুনকার সহধর্মিনী ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর মা মমতাজ বেগমের কবর জিয়ারত করেন শামীম ওসমান। পরে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দলীয় নেতাদের নিয়ে মেয়র আইভীর সঙ্গে দেখা করতে তাঁর বাড়িতে যান তিনি। এ সময় মেয়র আইভী ও তাঁর শোকাহত পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানিয়ে শামীম ওসমান বড় ভাই সুলভ আচরণ করে সবার খোঁজ-খবর নেন। মেয়র আইভীর মাথায় স্নেহের পরশে কয়েকবার হাত বুলিয়ে সান্ত্বনাও দেন তিনি। আইভীর বাড়িতে প্রায় আধা ঘণ্টা অবস্থান করেন সংসদ সদস্য শামীম ওসমান।
এ সময় শামীম ওসমানকে বিভিন্ন প্রকার ফল, দই ও মিষ্টি দিয়ে আপ্যায়ন করেন মেয়র আইভী। মেয়র আইভী তাঁর মায়ের কুলখানি উপলক্ষে আগামী বৃহস্পতিবার বাদ আসর দোয়ায় অংশ নিতে শামীম ওসমানসহ উপস্থিত সবাইকে অনুরোধ জানান। শামীম ওসমানও উপস্থিত সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এই দোয়ায় অংশ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে নিজে উপস্থিত থাকার কথা জানান।
মেয়র আইভীর বাড়িতে সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের সঙ্গে ছিলেন জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ এবং বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের বেশ কয়েকজন নেতৃবৃন্দ। ছিলেন মেয়র আইভীর নিকট আত্মীয়-স্বজনরাও।
এর আগে কবরস্থানে মেয়র আইভীর মায়ের কবর জিয়ারত করে নিজের মা-বাবা ও বড় ভাইয়ের কবর জিয়ারত করে দোয়ায় অংশ নেন শামীম ওসমান। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, নিজের স্ত্রী (নারায়ণগঞ্জ জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান সালমা ওসমান লিপি) গুরুতর অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী থাকায় গত রোববার মেয়র আইভীর মায়ের মৃত্যুর দিন এসে দেখা করতে পারেননি। তবে নৈতিক দায়িত্ববোধ থেকেই তিনি মেয়র আইভীর মায়ের কবর জিয়ারত করতে এসেছেন। শোকাহত পরিবারটির সবাই যেন দ্রুত এই মৃত্যুশোক কাটিয়ে উঠতে পারেন সেই প্রত্যাশার কথাও জানান শামীম ওসমান।
গত রোববার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর মা ও সাবেক পৌরপিতা মরহুম আলী আহাম্মদ চুনকার সহধর্মিণী মমতাজ বেগম। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। মমতাজ বেগমের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরে মমতাজ বেগম ঠাণ্ডাজনিত রোগে ভুগছিলেন। তিনি দুই মেয়ে, দুই ছেলে, নাতি-নাতনি, অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
বাদ এশা নগরীর দেওভোগ বেপারীপাড়া জামে মসজিদে জানাজা শেষে মাসদাইর সিটি করপোরেশন কবরস্থানে মমতাজ বেগমকে দাফন করা হয়।
সেদিনই মমতাজ বেগমের জানাজায় অংশ নেন শামীম ওসমানের বড় ভাই ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান। পরে রাত সাড়ে ৯টায় সেলিম ওসমান দেওভোগে মেয়র আইভীর বাসভবনে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন এবং মাথায় হাত বুলিয়ে সমবেদনা জানান। এ সময় মেয়র আইভী তাঁর মায়ের জন্য দোয়া কামনা করেন।