করোনার নমুনা দেওয়ার আগ মুহূর্তে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন বৃদ্ধা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনাভাইরাসের নমুনা দেওয়ার আগ মুহূর্তে হোসনে হুর বেগম (৭১) নামের এক বৃদ্ধা মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ হৃদয় বিদারক ঘটনা ঘটে। এর আগে গতকাল সদর হাসপাতালে করোনাভাইরাসের নমুনা দিতে এসে লাইনে দাঁড়ানো অবস্থায় একজন মসজিদের ইমাম মারা যান।
মৃত হোসনে হুর বেগম উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের ইসলামাবাদ গ্রামের মৃত আরজুমান মিয়ার স্ত্রী।
সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নোমান মিয়া বলেন, ‘করোনার উপসর্গ নিয়ে কয়েকদিন আগে হোসনে হুর বেগম জেলা শহরের এক চিকিৎসকের কাছে যান। চিকিৎসক তাকে করোনা পরীক্ষা করাতে বলেন। এরপরও তিনি করোনার নমুনা না দিয়ে বাড়িতে অবস্থান করেন। আজ বৃহস্পতিবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তিনি করোনার নমুনা দিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন। ফরম পূরণের পর নমুনা দেওয়ার আগ মুহূর্তে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘নমুনা সংগ্রহ করতে না পারায় তিনি আক্রান্ত ছিলেন কিনা তা বলা যাচ্ছে না। তবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ ছিল।
উল্লেখ্য, গতকাল বুধবার জেলার সদর হাসপাতালে করোনাভাইরাস শনাক্ত করতে পরীক্ষার নমুনা দিতে এসে লাইনে দাঁড়ানো অবস্থায় ইকবাল নামের এক মসজিদের ইমাম মারা যান।
মৃত ইমাম ইকবাল সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের বিহাইর গ্রামের সহিদুল ইসলামের ছেলে। তিনি আখাউড়া পৌর এলাকার খড়মপুর গ্রামের একটি মসজিদের ইমামতি করতেন।
ইকবালের পরিবারের সদস্যরা জানায়, গত এক সপ্তাহ ধরে ইকবাল জ্বর, ঠাণ্ডাসহ নানান রোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ ছিলেন। গতকাল তাঁকে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করাতে হাসপাতালের বিএমএ ভবনে নিয়ে আসা হয়। সেখানে ফরম পূরণ করে লাইনে দাঁড়ানো অবস্থায় অচেতন হয়ে মাটিতে ঢলে পড়েন। পরে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ইসিজি করে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সোলায়মান মিয়া বলেন, ‘ইকবাল নামের ব্যক্তিটি করোনাভাইরাস সাসপেক্টেট ছিলেন।’