গণটিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়নে জনসাধারণের পাশে থাকবে ছাত্রলীগ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত গণটিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়নে টিকাদান কেন্দ্রে জনগণের পাশে দাঁড়াতে সব ইউনিট ভিত্তিক টিম গঠনের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। আজ সোমবার বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল-নাহিয়ান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনার এই মহাসংকটকালে প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের মানুষ বিনামূল্যে কোভিড-১৯ টিকা গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে টিকাদান কার্যক্রম রাজধানী থেকে শুরু হয়ে বিভাগ, জেলা, উপজেলা পর্যন্ত পরিচালিত হচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় সবাইকে টিকার আওতায় আনতে বয়সসীমা ২৫ বছর থেকে আগস্টের প্রথম সপ্তাহে ১৮ বছর করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি সব বিভাগীয় ও জেলা শহর এবং মহানগরের পাশাপাশি ইউনিয়ন পর্যায়ে আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে গণটিকা দেওয়ার প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় এবার ইউনিয়ন পরিষদে সরকারিভাবে টিকা প্রদান করার কর্মসূচি ষোষণা করা হয়েছে। আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে এক কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের জনগণ যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে যেন টিকা গ্রহণ করতে পারে সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সাংগঠনিক ইউনিট ভিত্তিক টিম গঠন করে টিকাদান কেন্দ্রে সরকারি কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিদের সহযোগিতায় স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করবে।
এ লক্ষে সব সাংগঠনিক জেলা ও মহানগর কমিটিকে তাদের আওতাধীন সব উপজেলা ও ইউনিয়নের টিকাদান কেন্দ্রভিত্তিক পৃথক স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠন করে তালিকা কেন্দ্রের দপ্তর সেলে পাঠাতে বলা হয়েছে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী নেতৃবৃন্দ ওই কার্যক্রম তদারকি করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে স্বেচ্ছাসেবক টিমকে শোকাবহ আগস্টের কালো ব্যাজ ধারণ করে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে সুসংগঠিতভাবে গণটিকা কার্যক্রমে অংশগ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান জয় এনটিভি অনলাইনকে বলেন, জাতির যেকোনো ক্রান্তিকালে সাধারণ মানুষের পাশে থাকে ছাত্রলীগ। এটাই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ। আপনারা দেখেছেন, করোনার শুরু থেকেই সাধারণ মানুষের পাশে ছিল বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। সচেতনতা বৃদ্ধি, খাদ্যসামগ্রী, অক্সিজেন সেবা, কৃষকের ধান কাটাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। সাধারণ মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর গণটিকাদান কর্মসূচিতেও ছাত্রলীগের কর্মীরা টিম গঠন করে সাধারণ মানুষের পাশে থাকবে।