পরী মণি-রাজের মামলার তদন্তভার চায় র্যাব
আলোচিত চিত্রনায়িকা পরী মণি ও প্রযোজক মো. নজরুল ইসলাম রাজের ব্যাপারে নানা ধরনের তথ্য পাচ্ছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। সেসব তথ্য যাচাই-বাছাই করছে পুলিশের এলিট ফোর্সের গোয়েন্দা শাখা।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় র্যাব সদর দপ্তরে সংস্থাটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) কর্নেল কে এম আজাদ এনটিভি অনলাইনকে এসব তথ্য জানান। তিনি বলেছেন, ‘আমরা পরি মণি ও রাজসহ এ সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধ তথ্য পাচ্ছি। সেগুলো যাচাই-বাছাই চলছে।’
পরি মণি ও মো. নজরুল ইসলাম রাজের বাসায় চালানো এই অভিযানের রেশ সামনের দিকে যাবে কি না, এমন প্রশ্নে কর্নেল কে এম আজাদ বলেন, ‘কাজ তো করছি; দেখি কী হয়। বিভিন্ন ইস্যুতে কাজ করছি। এ ধরনের অপারেশনগুলো প্রায় এক সপ্তাহের বেশি ধরে করা হলো। তাদের (পরি মণি-রাজ) ব্যাপারে বিভিন্ন তথ্য পাচ্ছি। কিন্তু হঠাৎ করে তো তথ্যের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়া যায় না। যাচাই-বাছাই করে দেখতে হবে। তাই করা হচ্ছে। কাজের পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে তখন দেখা যাবে।’
পরি মণি ও রাজের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলার তদন্ত করার পরিকল্পনা আছে কি না- এমন প্রশ্নের উত্তরে কে এম আজাদ বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা আছে। আমরা আমাদের আরও ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে কথা বলি। তারপর যদি আমাদের তদন্ত করার সুযোগ থাকে, আমরা চেষ্টা করব।’
রাজ ছাড়া এ সিন্ডিকেটের আর কোনো পৃষ্টপোষক আছে কি না- এমন প্রশ্নে কে এম আজাদ বলেন, ‘আমাদের কাছে তথ্য আসছে। আমরা তথ্য যাচাই-বাছাই করছি। যাচাই-বাছাইয়ের আগে তো নির্দিষ্ট করে বলা যায় না। বাট জানবেন আপনারা। আপনাদেরকে আগামীতে জানানো হবে। একটা সিন্ডিকেট বা একটি সোসাইটি তো একজন-দুজনকে নিয়ে গঠিত হয় না। কম-বেশি কারো ইনভলমেন্ট থাকতেই পারে।’
‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলার পর থেকে মাদক হচ্ছে আমাদের মেইন টার্গেট। মাদক ব্যবসা ও ব্যবহারকারীদের সঙ্গে যারা ডিরেক্টলি এবং ইনডিরেক্টলি জড়িত তাদেরকে নিয়েই আমাদের কাজ। আপনারা অতীতেও দেখেছেন মাদক ব্যবসায়ী ও ব্যবহারকারীকে ধরা হয়েছে। সামনের দিকে যেতে যেতে এখানেও একটা সেক্টর ছিল, যারা খুব পরিচিত মুখ আমাদের সোসাইটিতে। এদের বিরুদ্ধেও বিভিন্ন তথ্য পাওয়া গেছে বলে আমরা অভিযান চালিয়েছি’, যোগ করেন র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, চিত্রনায়িকা পরী মণির বাসায় মিলেছে মিনিবার। সেখানে ডিজে পার্টি হতো। অনেকে সেখানে যাতায়াত করতেন। পরী মণিকে মাদক সরবরাহ করতেন প্রযোজক ও অভিনেতা মো. নজরুল ইসলাম রাজসহ বেশ কয়েকজন।