শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ঢাকামুখী যাত্রীর ভিড়
কঠোর বিধিনিষেধের ১৭তম দিনেও আজ রোববার শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ঢাকামুখী যাত্রীর ভিড় দেখা গেছে। আজ সকাল থেকে বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে নৌরুটের ফেরিতে নদী পার হচ্ছে অনেকেই। অন্যদিকে কঠোর বিধিনিধেষের নিয়ম অনুযায়ী, শুধু জরুরি ও বিধিনিষেধের আওতার বাইরে থাকা যানবাহন পারাপারের নির্দেশনা থাকলেও ফেরিতে পার হচ্ছে ব্যক্তিগত গাড়ি।
যাত্রীরা জানান, ৫ আগস্ট বিধিনিষেধ শেষ হবে মনে করে রাজধানীতে কর্মস্থলে ফেরার অপেক্ষায় ছিল দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অনেকে। তবে, বিধিনিষেধের সময়সীমা বাড়লেও পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে তাঁরা ঢাকার কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন। অনেকে আবার চিকিৎসা ও টিকা নেওয়াসহ নানা প্রয়োজনে ঢাকায় যাচ্ছেন।
এদিকে, গণপরিবহণ বন্ধ থাকায় আজও শিমুলিয়াঘাটে পৌঁছানোর পর জরুরি প্রয়োজন ও কর্মস্থলে ফেরা মানুষেরা গন্তব্যে যেতে বিপাকে পড়ছে। পিকআপভ্যান, কাভার্ডভ্যান, ব্যাটারিচালিত-সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলে করে ভেঙে ভেঙে তাঁরা পাড়ি দিচ্ছেন গন্তব্যে। এতে ভোগান্তির পাশাপাশি গুণতে হচ্ছে দুই-তিনগুণ বেশি ভাড়া।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহণ করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক মাহবুবুর রহমান জানান, নৌরুটে বর্তমানে রোরো, মিডিয়াম ও ছোট মিলিয়ে ১০টি ফেরি সচল রয়েছে। সকাল থেকে বাংলাবাজার ঘাট থেকে ঢাকামুখী যাত্রীরা আসছেন। আবার দক্ষিণবঙ্গগামী কিছু যাত্রীও পারাপার করছেন। ঘাট এলাকায় পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে শতাধিক ব্যক্তিগত গাড়ি ও দুই শতাধিক ট্রাক।
বিআইডব্লিউটিসির ব্যবস্থাপক (মেরিন) আহমেদ আলী জানান, রোরো ও মাঝারি সাইজের ১০টি ফেরি চলাচল করলেও ছয়টি ডাম্প ফেরি (টানা ফেরি) বন্ধ রয়েছে।