ই-অরেঞ্জের সিইও আমান কারাগারে
প্রায় এক হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় ই-অরেঞ্জের চিফ অপারেটিং অফিসার আমান উল্যাহকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবুবকর ছিদ্দিক এই আদেশ দেন। এ বিষয়ে আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) মোহাম্মদ আলমগীর হোসাইন এ তথ্য জানিয়েছেন।
জিআরও বলেন, আজ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম আসামি আমানকে হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। সেই আবদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক আসামিকে কারাগারে পাঠিয়ে রিমান্ড শুনানির তারিখ আগামী ২৩ আগস্ট নির্ধারণ করেন।
মোহাম্মদ আলমগীর হোসাইন বলেন, এ ছাড়া আজ এ মামলায় ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন ও তাঁর স্বামী মাসুকুর রহমানেরও ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। ওইদিন এ দুই আসামিরও রিমান্ড শুনানি হবে।
এর আগে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় আমান উল্যাহকে গুলশান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে ২৪টি ক্রেডিট কার্ড, ১৬ লাখ টাকা এবং গাড়ি জব্দ করা হয়।
নথি থেকে জানা গেছে, গত ১৭ আগস্ট গুলশান থানায় বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন ই-অরেঞ্জের প্রতারণার শিকার মো. তাহেরুল ইসলাম নামের এক গ্রাহক।
এজাহারে বলা হয়েছে, বাদী গত ২১ এপ্রিল পণ্য কেনার জন্য ই-অরেঞ্জে অগ্রিম টাকা দেন। তবে ই-অরেঞ্জ নির্ধারিত তারিখে পণ্য সরবরাহ করেনি। টাকাও ফেরত দেয়নি। নিজেদের ফেসবুক পেজে বার বার নোটিশ দিয়েছে। কিন্তু তারা পণ্য ও টাকা দেয়নি। সর্বশেষ বাদীকে গুলশান-১ এর ১৩৬/১৩৭ নম্বর রোডের ৫/এ নম্বর ভবনে অবস্থিত অফিস থেকে পণ্য ডেলিভারির কথা বললেও ই-অরেঞ্জ ডেলিভারি দেয়নি।