বরিশাল বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ও উপসর্গ নিয়ে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে করোনায় চারজন ও উপসর্গ নিয়ে তিনজন মারা গেছেন।

একই সময়ে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৮০ জন। আর এ সময়ের মধ্যে শনাক্তের সাতগুণের ও বেশি এক হাজার ৩৮০ জন সুস্থতা লাভ করেছে।

আজ শুক্রবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস।

বিভাগীয় পরিচালক জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে তিনজন এবং করোনা ওয়ার্ডে করোনায় আক্রান্ত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া বিভাগের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।

করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া চারজনের মধ্যে বরিশালে তিনজন ও পটুয়াখালীতে একজন রয়েছে। সব মিলিয়ে বরিশাল বিভাগে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬২২ জনে। একই সময় করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ১৮০ জন। এ নিয়ে বিভাগে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪২ হাজার ৩৪০ জনে। আর এ সময়ের মধ্যে সুস্থ হয়েছে এক হাজার ৩৮০ জন, যা নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছে ২৯ হাজার ৬৬৩ জন।

আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল জেলায় নতুন ৫৮ জন নিয়ে মোট ১৭ হাজার ৩৬৬ জন, পটুয়াখালীতে নতুন ৩২ জন নিয়ে মোট পাঁচ হাজার ৮২৪ জন, ভোলায় নতুন ৪৯ জনসহ মোট ছয় হাজার ১৮ জন, পিরোজপুরে নতুন ৯ জনসহ মোট পাঁচ হাজার ৬৬ জন, বরগুনায় নতুন ২৫ জনসহ মোট তিন হাজার ৬০৪ জন ও ঝালকাঠিতে নতুন সাতজন নিয়ে মোট চার হাজার ৪৬২ জন রয়েছে।

এদিকে, শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালকের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় শুধু বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে তিনজনের এবং করোনা ওয়ার্ডে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। যা নিয়ে শুধু শেবাচিম হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডেই উপসর্গ নিয়ে ৯৩১ জন এবং করোনা ওয়ার্ডে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৩৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করা ৯৩১ জনের মধ্যে ৭৭ জনের কোভিড টেস্টের রিপোর্ট এখনও হাতে পাওয়া যায়নি।

ওই হাসপাতাল পরিচালক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় শেবাচিমের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৯ জন ও করোনা ওয়ার্ডে আটজন ভর্তি হয়েছে। করোনা ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে এখন ১৩৮ জন চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে ৫৪ জন করোনা ওয়ার্ডে এবং ৮৪ জন আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আরটিপিসিআর ল্যাবে মোট ১৮৮ জন করোনা পরীক্ষা করান। এর মধ্যে ২০ দশমিক ৭৪ শতাংশ পজিটিভ শনাক্তের হার।