কাঠগড়ায় বসে ওসি প্রদীপের ফোনালাপ, ৩ পুলিশ প্রত্যাহার
অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মুহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের সময় টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ মুঠোফোনে কথা বলার ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার কারণে তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ ঘটনায় গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি। আদালতজুড়ে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. হাসানুজ্জামান আজ বুধবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ।
এসপি মো. হাসানুজ্জামান বলেন, ‘এটিএসআই শাহাব উদ্দিন, কনস্টেবল আবদুস সালাম ও আবদুল কাদেরকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।’
এ ঘটনায় কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পংকজ বড়ুয়াকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
আজ বুধবার সকালে মেজর অবসরপ্রাপ্ত সিনহা মুহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর আগেই আদালতে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যদের।
এর আগে, কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন মামলার বাদী শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। কীভাবে ভাইকে হত্যা করা হয়, সেই বর্ণনা আদালতে উপস্থাপন করছিলেন তিনি। বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে তখন ১৫ আসামি। তাদের মধ্যে টেকনাফ থানার বহিষ্কৃত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ। দুপুর ১২টার দিকে হঠাৎ দেখা যায় আসামি প্রদীপ কুমার কাঠগড়ায় বসেই মুঠোফোনে কথা বলছেন। সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খানকে গুলি করে হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামি এই প্রদীপ কুমার দাশ। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার হলে আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আদালতের বিচারক এ ব্যপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে নির্দেশ দেন।