রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের দাবিতে মানববন্ধন
রোহিঙ্গা সংকটের চার বছর পূর্তি উপলক্ষে অবিলম্বে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের দাবিতে মানববন্ধন করেছে কক্সবাজার রোহিঙ্গা প্রতিরোধ কমিটি। আজ বুধবার কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তারা জানান, কক্সবাজারে বিপুল রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বসবাসের কারণে কক্সবাজারে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সঙ্গে নানা সংঘাত দেখা দিয়েছে। রোহিঙ্গারা মাদক কারবার, হত্যা, অপহরণসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। কক্সবাজারে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের শনাক্ত করে তাদের এক জায়গায় নিয়ে আসা দরকার। যারা অবৈধভাবে পাসপোর্ট ও ন্যাশনাল আইডি কার্ড করেছে সবগুলো বাতিল করতে হবে।
রোহিঙ্গাদের মদদকারীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সমাবেশে দাবি জানান বক্তারা।
এদিকে, রোহিঙ্গা সংকটের চার বছর পূর্তিকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের যেকোনো তৎপরতা বন্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আজ সকাল থেকে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় ৩৪টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এপিবিএনের সদস্য ছাড়াও জেলা পুলিশ, র্যাব এবং গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা তৎপর রয়েছে।
২০১৭ সালের এই দিনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর গণহত্যার মুখে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে কক্সবাজারে সাড়ে সাত লাখের অধিক রোহিঙ্গা কক্সবাজারে আশ্রয় নিয়েছিল। এর ঠিক দুই বছরের মাথায় ২০১৯ সালের ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কয়েক লাখ রোহিঙ্গার সমাবেশের ঘটনায় দেশ বিদেশে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়। এরপর সরকার ক্যাম্পে যেকোনো ধরনের সভা সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
কক্সবাজারে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ রেজওয়ান হায়াত জানিয়েছেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতিসহ নিরাপত্তাজনিত কারণে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সভা সমাবেশের কোনো সুযোগ নেই। বর্তমানে দেশের ৩৪টি রোহিঙ্গা ক্যাম্প শান্ত রয়েছে।
তবে ক্যাম্প সূত্রে জানা গেছে, রোহিঙ্গা সংকটের চার বছর পূর্তির দিন ফজরের নামাজের পর মসজিদে মসজিদে দোয়া মাহফিল হয়েছে। কিছু কিছু এলাকায় বিভিন্ন লেখা সংবলিত প্লাকার্ড নিয়ে রোহিঙ্গা শিশুরা বিচ্ছিন্নভাবে ছোট ছোট সংক্ষিপ্ত মানববন্ধন করেছে। তবে পুরো রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা টহল জোরদার করেছে।