‘সরকার মনে করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে আন্দোলনের দাবানল জ্বলে উঠবে’
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ বলেছেন, ‘সরকার দুর্নীতির ভারে, অনিয়মের ভারে ন্যুব্জ হয়ে পড়েছে। তাই এই সরকার মনে করে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের দাবানল জ্বলে উঠবে। এ সরকারের কথা শুনলে মনে হচ্ছে—তারা করোনা জয় করে ফেলছে৷ এ সরকার যতদিন থাকবে ততদিন করোনা যাবে না। বাংলাদেশ থেকে যদি করোনাকে বিদায় করতে হয় তাহলে আগে এই স্বৈরাচারী হাসিনার সরকারকে বিদায় করতে হবে।’
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবিতে আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবক ফোরাম আয়োজিত মানববন্ধনে এসব কথা বলেন তিনি।
শওকত মাহমুদ বলেন, ‘করোনা মোকাবিলার নামেই সরকারি স্কুল-কলেজ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে। সরকার ছাত্র শিক্ষক এবং অভিভাবক সবাইকে নিজেদের প্রতিপক্ষ বানিয়ে নিয়েছে। তারা মনে করছে, ছাত্র শিক্ষক অভিভাবকেরা হচ্ছে সরকারের শত্রু। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া মানে হচ্ছে সরকারের বিপদ ডেকে আনা। করোনার সংক্রমণ পাঁচ শতাংশের নিচে এলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার কথা বলছে তারা। আবার বলছে শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া না হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে না। অথচ শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই। টিকার নামে গণপ্রতারণা করছে সরকার। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে টিকা দেওয়া যেত, টিকার মজুদ তাদের কাছে ছিল, অথচ তারা টিকা দেয়নি৷’
বিএনপিনেতা শওকত মাহমুদ বলেন, ‘অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া এবং ছাত্র-ছাত্রীদেরকে টিকা দেওয়ার দাবি জানাই। বাংলাদেশের ওপর নাজিল হওয়া এই ফ্যাসিবাদী সরকারের বিদায় নেওয়া বিদায়ের জন্য সর্বাত্মক আন্দোলনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানাই।’
শওকত মাহমুদ আরও বলেন, ‘আমাদের চাকরি নেই, আমাদের ভাবনায় গরিবদের সাহায্যের কোনো ব্যবস্থা নেই, তাই এই সরকারকে আর ক্ষমতায় রাখা যায় না। আমরা আজ এখানে একটি মতপ্রকাশের জন্য দাঁড়িয়ে আছি, সেই মতপ্রকাশ হলো—অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হোক। আজ মানববন্ধনের মাধ্যমে আমরা আমাদের মত প্রকাশ করছি। ভোটের মাধ্যমে আমরা আমাদের মত প্রকাশ করি। কিন্তু, এ সরকার আজ বাংলাদেশের প্রতিটি জায়গায় মতপ্রকাশের স্বাধীনতার উপর সরকার কালো আইন জারি করে রেখেছে। এই মত প্রকাশের স্বাধীনতা সংগ্রামই হচ্ছে আমাদের এখনকার জাতীয় মুক্তির সংগ্রাম। আমরা নিরপেক্ষভাবে ভোট দিতে চাই আমরা আমাদের সাংবিধানিক অধিকার ফিরে পেতে চাই। এই অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য দুর্বার আন্দোলন ছাড়া কোনও উপায় নেই।
অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খাইরুল কবির খোকন, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমাম ইরান, বিএফইউজের মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, ডিইউজের সভাপতি কাদের গণী চৌধুরী, শিক্ষকনেতা দেলোয়ার হোসেন, মহাসচিব জাকির হোসেন।