অবশেষে ভোলার নদী থেকে খুঁটিজাল অপসারণ শুরু
ভোলার মেঘনায় খুঁটিজাল অপসারণ শুরু হয়েছে। এতে খুশি সাধারণ জেলেরা। জেলেদের দাবি, শুধু খুঁটিজাল নয়, নিষিদ্ধ সব জালই অপসারণ করতে হবে মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদী থেকে। একইসঙ্গে সাধারণ জেলেদের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে এসব স্থান।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার সরাজগঞ্জ মাছঘাট সংলগ্ন মেঘনায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইফুল ইসলাম ও জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম আজহারুল ইসলাম। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন থানা ও নৌ-পুলিশের সদস্যরা।
এ সময় তাঁরা বিশাল জাল ও বেড় দেওয়া খুঁটি করাত দিয়ে কেটে ফেলে। জাল তুলে নষ্ট করে দেওয়া হয়। শ্রমিকদের নিয়ে জাল কেটে দেওয়া হয় নদী থেকে।
স্থানীয় জেলেরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই আমরা এই স্থানে জাল ফেলতে পারতাম না। স্থানীয় কালাম নেতা নামের এক ব্যক্তি বিশাল আকৃতির খুঁটি দিয়ে মেঘনা নদী দখলে রাখে। তার ভয়ে কেউ জাল ফেলতে পারত না।
প্রশাসনের এমন অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে জেলেরা বলেন, শুধু এটা নয়, এমন যতো খুঁটি ও নিষিদ্ধ জাল রয়েছে সবই নদী থেকে তুলে দিতে হবে।
একইসঙ্গে তাঁরা এনটিভিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, প্রতিবেদন প্রকাশ ও প্রচার করার ফলেই প্রশাসনের টনক নড়ে এবং তাঁরা আজকের এই অভিযান করে।
ইউএনও সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা প্রভাবশালীদের কোনো ধরনের চাপ অনুভব করছি না। এসব এলাকায় সাধারণ জেলেরা মাছ ধরতে পারত না। খুঁটিজাল অপসারণের ফলে সাধারণ জেলেরা এখন মাছ ধরতে পারবে। এ ছাড়া নদীর গতিপথ আর বাধাগ্রস্ত হবে না।’
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এসএম আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘এসব জাল অবৈধ। আমরা আশা করছি নিয়মিত অভিযানে এসব জাল ও খুঁটি অপসারণ করতে সক্ষম হব। তবে পর্যাপ্ত বাজেট পেলে অভিযান নিয়মিত পরিচালনা করা সম্ভব হবে।’
মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে নিষিদ্ধ খুঁটি ও পেটানো জাল দিয়ে প্রভাবশালীদের ইলিশ ধরা নিয়ে এনটিভিতে সংবাদ প্রচারিত এবং প্রকাশিত হওয়ার পর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। এর ফলেই তাঁরা অভিযান শুরু করেন।