‘নিজামীর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছিল না’
মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন তাঁর আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন।
আজ মঙ্গলবার সকালে নিজামীর আপিলের শুনানি শেষে নিজ কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন খন্দকার মাহবুব। তিনি বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় যাঁরা প্রধান আসামি ছিলেন, তাঁদের বিচার হচ্ছে না।
‘যাঁরা তাঁদের সহযোগী ছিলেন বা সমর্থন করেছেন, তাঁদের বিচার করা হচ্ছে। মতিউর রহমান নিজামী ঘটনার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন না। তাঁর বিরুদ্ধে কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছিল না। আপিল বিভাগে আশা করি তিনি ন্যায়বিচার পাবেন’, যোগ করেন খন্দকার মাহবুব।
নিজামীর আইনজীবী বলেন, বুদ্ধিজীবী হত্যার ঘটনায় নিজামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হলেও সাক্ষীদের বক্তব্যে অসামঞ্জস্যতা পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ড. আলীমের স্ত্রী শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী দুটি বই লিখেছেন। এর মধ্যে একটি হলো ‘একাত্তরে শহীদ ডা. আলীম’। এ বইয়ে নিজামী বুদ্ধিজীবী হত্যায় জড়িত ছিলেন বলে শ্যামলী নাসরিন উল্লেখ করেননি। কিন্তু ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেওয়ার সময় নিজামী বুদ্ধিজীবী হত্যায় উসকানি দিয়েছেন বলে সাক্ষ্য দেন তিনি। এতে করে তাঁর দুই রকম বক্তব্য পাওয়া গেল।
খন্দকার মাহবুব বলেন, বুদ্ধিজীবী আজহারুল ইসলামের স্ত্রী সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন শাহরিয়ার কবিরের কাছে। সেখানেও নিজামী বুদ্ধিজীবী হত্যায় জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ করেননি। তাই সরাসরি মতিউর রহমান নিজামী যেহেতু জড়িত ছিলেন না, তাই তাঁকে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া যাবে না।
‘আমরা আদালতকে বলেছি, আদালত যদি প্রসিকিউশনের বক্তব্য বিশ্বাসও করে, তাহলেও তাঁকে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া যাবে না। আমরা আদালতের কাছে ন্যায় প্রত্যাশা করি’, বলেন সুপ্রিম কোর্টের এ আইনজীবী।
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে করা আপিলের শুনানি আজ শেষ হয়েছে। আগামী ৬ জানুয়ারি এ বিষয়ে রায়ের জন্য দিন ধার্য করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের বেঞ্চ রায়ের এ দিন ধার্য করেন।